৫ মিনিটেই খোলা যাবে ব্যাংক হিসাব
এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দিয়ে যে কোনো ব্যক্তি ঘরে বসে মাত্র ৫ মিনিটেই ব্যাংক হিসাব, শেয়ারবাজারের বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাব ও বীমা পলিসি খুলতে পারবেন।
এই জন্য ব্যাংকগুলোর সব গ্রাহককে ইলেক্ট্রনিক-নো ইয়োর কাস্টমার (ই-কেওয়াইসির)-এর আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা (বিএফআইইউ) থেকে এ সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন তৈরি করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই পদ্ধতিতে মাত্র ৫ মিনিটেই গ্রাহকরা ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। এই জন্য প্রয়োজন হবে গ্রাহকদের আঙুলের ছাপের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র। গ্রাহক সহজে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। সেই সঙ্গে গ্রাহকের প্রতি হিসাব খোলা ও কেওয়াইসি সংরক্ষণের খরচ প্রায় ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কমে যাবে। এক বছরের মধ্যে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনটি সব ব্যাংকের পাশাপাশি বীমাকারী প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্টক ডিলার ও স্টক ব্রোকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার, সিকিউরিটি কাস্টডিয়ান, সম্পদ ব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনাকারী সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিএফআইইউ বলছে, বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতি ঘরে ঘরে স্বল্প খরচে আর্থিক সেবা প্রদানের পাথে সহায়ক হবে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া। এছাড়া এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন নিশ্চিত, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব ই-কেওয়াইসির আওতায় আনতে হবে।
ইতোমধ্যে ইলেক্ট্রনিক কেওয়াইসি বা ই-কেওয়াইসি’র পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক হিসাব খোলা শুরু করেছে। এছাড়া বিকাশও ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে হিসাব খোলা শুরু করেছে।
বর্তমানে যে কোনো ব্যাংকে একটি হিসাব খুলতে গ্রাহককে বাধ্যতামূলক ‘নো ইউর কাস্টমার’ (কেওয়াইসি) পূরণ করতে হয়। ব্যাংকভেদে এই ফরম পূরণ করতে একজন গ্রাহকের ৫০-৭০টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এ জন্য প্রায় ৩০ মিনিট সময় ব্যয় হয়। এরপর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গ্রাহকের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয় এবং এর সত্যতা নিশ্চিত করে খোলা হয় একটি ব্যাংক হিসাব। এ পদ্ধতিকে একটি হিসাব কয়েকদিন সময় লেগে যায়। কিন্তু ই-কেওয়াইসি চালু হলে অবসান ঘটবে এ পরিস্থিতির।
Tag: Featured
No comments: