গেইলের ম্যাচে নায়ক ইমরুল
জেঁকে বসা শীত কিছুক্ষণের জন্য টের পাওয়া যায়নি ক্রিস গেইলের তাণ্ডবে! বেশিক্ষণ অবশ্য উষ্ণ থাকেনি শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ক্যারিবীয় ওপেনার টিকতে পেরেছেন মাত্র ১০ বল। ৩ ছক্কা ও এক চারে ২৩ রান করে কামরুল ইসলামের বলে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
গেইল সাজঘরে ফেরার পর তিনে নেমে ইমরুল কায়েস লড়েছেন শেষপর্যন্ত। ৪১ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে এনে দিয়েছেন ৭ উইকেটের বড় জয়।
রাজশাহী-১৬৬/৮ (২০ ওভার), চট্টগ্রাম-১৭০/৩ (১৮.৩ ওভার)
গেইলের ম্যাচে নায়ক হতে পারতেন তার ওপেনিং পার্টনার লেন্ডল সিমন্স। ৪৩ বলে ৫১ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে যান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ইমরুলের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৭ রান। ওই জুটিতেই দুটি পয়েন্ট হেলে পড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের দিকে। ইমরুলের ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা, ৩টি চার।
৫ ম্যাচ পর চোট কাটিয়ে ফেরা মাহমুদউল্লাহ নেমে প্রথম বলেই হাঁকান বাউন্ডারি। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিলিয়ে আসেন উইকেট। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হন ১০ রান করে। খেলেন ৬ বল। ইমরুল-ওয়ালটন মিলে পাড়ি দেন বাকি পথটুকু। ৯ বল আগেই তারা পৌঁছে যান ১৬৭ রানের লক্ষ্যে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
অসাধারণ জয়ে রাজশাহীকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। শুরু থেকেই এক নম্বরে থাকা চট্টগ্রামকে এক ম্যাচ আগেই টপকে গিয়েছিল রাজশাহী। ডাবল লিগ পদ্ধতির আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
আগে চট্টগ্রামের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও জিয়াউর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংকে পাশ কাটিয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে রাজশাহী।
দলীয় ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন দারুণ ফর্মে থাকা তরুণ ওপেনার আফিফ হোসেন ধ্রুব (৬)। রাজশাহীর অপর ওপেনার লিটন দাস দুবার জীবন পেয়ে তুলে নেন ফিফটি। মিডলঅর্ডারে আন্দ্রে রাসেল ও শেষদিকে ফরহাদ রেজা ছোট ছোট দুটি কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
লিটন ৪৫ বল খেলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রান করেন। রাসেল পাঁচে নেমে ১০ বলে এক চার আর ২ ছয়ে ২০ রান করে যান। ফরহাদ রেজা আটে নেমে ৮ বলে এক চার ও ২ ছয়ে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শোয়েব মালিক করেন ২৪ বলে ২৮ রান।
চট্টগ্রামের পেসার রুবেল হোসেন চার ওভারে ২০ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়েছেন। জিয়াউর রহমান তিন ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট।
Tag: games
No comments: