রাসেল ঝড়ে গেইলদের বিদায়
রাজশাহী রয়্যালসের সামনে তখন ৩১ বলে ৮২ রানের ‘অসম্ভব’ এক সমীকরণ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হাতের তালুতে ম্যাচ। আন্দ্রে রাসেলের ২২ বলে ৫৪ রানের টর্নেডো ওলটপালট করে দিল সব। ৪ বল হাতে রেখে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেছে রাজশাহী।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় শিরোপার মহারণে রাজশাহীর প্রতিপক্ষ মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রাম-১৬৪/৮ (২০ ওভার), রাজশাহী-১৬৫/৮ (১৯.২ ওভার)
শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ৩১ রান। মেহেদী হাসান রানা ১৯তম ওভারে দিয়ে বসেন ২৩ রান। শেষ ওভারে তখন ৮ রানের সহজ সমীকরণ। মূল বোলারদের ৪ ওভারের কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় মিডিয়াম পেসার আসেলা গুনারত্নের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রাসেল প্রথম দুটি বলে রান নেননি। তৃতীয় ডেলিভারি ওয়াইড করেন লঙ্কান বোলার। তৃতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকান রাসেল। পপিং ক্রিজ থেকে পা বেরিয়ে যাওয়া আম্পায়ার নো কল করলে খেলা শেষ হয়ে যায় ওখানেই।
রাসেলের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৭টি ছক্কা ও দুটি চারের মার। ইরফান শুক্কুর ৪২ বলে করেন ৪৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
অনেকক্ষণ ক্রিজে টিকে থেকেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি ইরফান শুক্কুর। শোয়েব মালিক থাকলেন বোতলবন্দী হয়ে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ইরফান-মালিক জুটি পঞ্চাশের কাছে গেলেও তখনও ব্যাকফুটে চট্টগ্রাম। রাসেল নেমেই বদলে দেন ম্যাচের চেহারা।
চট্টগ্রাম পেসার রুবেল হোসেন ও রায়াদ এমরিট নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। জিয়াউর রহমান ও মাহমুদউল্লাহ নেন একটি করে উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন জিয়া।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে চট্টগ্রাম। ক্রিস গেইলের ঝড়ো ফিফটি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আসেলা গুনারত্নের ক্যামিও ইনিংসের উপর দাঁড়িয়ে লড়াকু পুঁজি পায় বন্দরনগরীর দলটি।
গেইল ফিরেছেন ২৪ বলে ৬০ রানের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। ইনিংসে পাঁচটি ছক্কার সঙ্গে ছিল ছয়টি চারের মার। ক্যারিবীয় ব্যাটিং দৈত্যকে ফেরান আফিফ হোসেন ধ্রুব।
চ্যালেঞ্জার্স উইকেট খুইয়েছে নিয়মিত বিরতি দিয়ে। একপ্রান্ত আগলে রেখে ঝড় তুলে গেছেন গেইল, রানের চাকা রেখেছেন সচল। যদিও শেষদিকে রান তোলার গতি অনেকটাই কমে যায় মাহমুদউল্লাহদের। ২৫ বলে ৩১ রান করেছেন গুনারত্নে। ইনিংসে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন।
গেইলকে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। ১৮ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৩৩ রান করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। চার ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করা দুই বোলারই নিয়েছেন একটি করে মেডেন। ইরফান ১৬ ও নওয়াজ মাত্র ১৩ রান দিয়েছেন। তাদের দারুণ বোলিংয়ের কারণে স্কোরকার্ড খুব বেশি চওড়া হয়নি।
Tag: games
No comments: