Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সরকার দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : রাষ্ট্রপতি




সরকার দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, ইনশাল¬াহ।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়াই হোক, এবারের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সকলের অঙ্গীকার।’ তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাঁর আদর্শ মুছে দিতে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করতে অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথভাবে উদ্যাপনে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এ দিনে আমি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হবে যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটিকে আরো বেশি তাৎপর্যমন্ডিত করেছে। আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতার অবদান ছিল অতুলনীয়। ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বসহ ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন, ১৯৬৬ সালে ৬-দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সবই হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলার রূপকার। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহার কারণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তাৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে প্রকারান্তরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বজ্রকণ্ঠে তাঁর উচ্চারণ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ২৫ মার্চ কালরাত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে গণহত্যা শুরু করে। তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এর পরই পাকিস্তানি জান্তারা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করে এবং তদানিন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি করে রাখে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্য-স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রেখেই বঙ্গবন্ধু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র’। আবদুল হামিদ বলেন, পাকিস্তানে বন্দিকালীন তাঁর ফাঁসির হুকুম হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন তাঁর লক্ষ্যে অটল ও অবিচল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলবো, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা’। দেশ ও জনগণের প্রতি এমন অকৃত্রিম ভালোবাসার উদাহরণ বিশ্বে বিরল।একাদশ

র শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়। এটি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও দ্বিতীয় বছরের প্রথম অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দিচ্ছেন। এ অধিবেশনের প্রধান বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রপতির ভাষণ। নিয়ম অনুযায়ী, বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। এবারও সেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ও ভাষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। রাষ্ট্রপতির আগমনকে সামনে রেখে সংসদ ভবনস্থ রাষ্ট্রপতির দফতর ও অধিবেশন কক্ষ সাজানোর পাশাপাশি সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সরকারের এক বছরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। চলতি সংসদের দ্বিতীয় বছরের প্রথম অধিবেশন ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ‘মুজিবর্ষ’ উপলক্ষে আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হবে। যে অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের স্পিকারসহ সংসদ সদস্যরা অংশ নেবেন। অধিবেশনের জন্য সাতটি বিল : এবারের অধিবেশনে সাতটি বিল নিয়ে আলোচনা ও পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- কাস্টমস বিল-২০১৯, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল-২০১৯, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৯, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বিল-২০১৯, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল-২০১৯, বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০ এবং স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনান্সশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান বিল-২০২০।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply