Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » প্রবৃদ্ধির রেকর্ড নিয়ে বাড়ছে বিতর্ক




বেসরকারি বিনিয়োগ গেলো কয়েক বছর ধরেই স্থির। তবু উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে দ্রুত গতিতে। একদিকে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক ধারা, অন্যদিকে সেবা খাতেও নেই প্রত্যাশিত সুখবর। এতো সব সংকটের পরও, সার্বিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে কি করে? অর্থনীতি বিশ্লেষকদের এমন প্রশ্নে সরকারের জবাব, সবকিছুকেই তত্ত্ব আর তথ্য দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে। বাস্তবতা দেখতে, যেতে হবে গ্রামে। দেখতে হবে ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গিতে। ভারি থেকে মাঝারি কিংবা ছোট শিল্প। কৃষি থেকে সেবা, প্রবাসী আয় এবং বহির্বাণিজ্য। এসবই দেশের অর্থনীতির আয়তন বাড়াচ্ছে প্রতিবছর। যার একীভূত হয়ে সহজ হিসেবে যুক্ত হচ্ছে প্রবৃদ্ধিতে। এই হার গেলো দশ বছরে গড়েছে নতুন রেকর্ড। যদিও তা নিয়ে সমালোচনা চলছে সমানতালে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হিসেব করা হয় মূলত চাহিদা এবং সরবরাহ- এই দুই ভিন্ন পদ্ধতিতে। যেখানে সরাসরি আমলে আসে উৎপাদন, ভোগ এবং বিনিয়োগের তথ্য। কিন্তু, সেগুলোর প্রকৃত চিত্রের সাথে প্রতিফলন নেই প্রবৃদ্ধির। যেমন, ২০১৪-১৫ থেকে পরের পাঁচ অর্থবছর বেসরকারি বিনিয়োগ আটকে আছে জিডিপির ২৩ শতাংশে। অথচ, এই সময়ে বড়, ছোট এবং মাঝারি শিল্প কারখানা থেকে উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ১৪ থেকে উঠে গেছে সোয়া উনিশে। প্রশ্ন হলো, বিনিয়োগ স্থির রেখে কিভাবে সম্ভব উৎপাদনের এমন উল্লম্ফন? বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি বছরের পর বছর ব্যাখ্যা করার মত প্রযুক্তিগত রূপান্তর কি আসলেই অর্থনীতিতে হচ্ছে কিনা। সেটার প্রমানটা কোথায়? বা হিউম্যান ক্যাপিটালে ডেভেলপমেন্টটা যদি হয়ে থাকে তবে তো আমদের হিউম্যান ক্যাপিটালের মান নিয়ে যে সমস্ত সূচকগুলি আছে সেখানে তো আমরা খুব দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করতাম, সেটাও তো দেখা যাচ্ছে না। পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিনিয়োগের কথা যখন বলি তখন আমরা বুঝি কেবল যে, গার্মেন্টস কতটা পরিবর্তন হলো। গার্মেন্টস খুব একটা পরিবর্তন হয়নি এটা কিন্তু সত্য। কিন্তু ভিতরগত ভাবে কৃষিক্ষেত্রে ওনেক পরিবর্তন হচ্ছে। বীজ সংরক্ষণ হচ্ছে, প্যাকেটজাত হচ্ছে এটাও তো প্রক্রিয়াজাতকরণ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এতগুলা ফ্যাক্টর আসলে কাজ করে সবটাকে একসাথে দাড় করিয়ে বিচার করা যাবে না। চলমানের মধ্যে বিচের করতে হবে। সেই বিচারটায় আমাদের আরও বেশি মনযোগ দিতে হবে। শিল্পের বাইরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বড় ধাক্কা খেয়েছে কৃষি প্রবৃদ্ধি। আগের বছরের ১১ শতাংশ থেকে নেমে গেছে ৯-এর ঘরে। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে কমে যায় ফসল এবং মাছের উৎপাদন। সমানতালে, নেতিবাচক ধারায় ছিল সেবা খাতের বেশ কয়েকটি বড় সূচক। বিশেষ করে, আর্থিক খাত, পর্যটন এবং রিয়েল এস্টেট। সব মিলিয়ে চলতি দামে আগের বছর থেকে মোট প্রবৃদ্ধি কমে যায় বেশ খানিকটা। তবে মূল্যস্ফীতি কম থাকায় প্রকৃত আয়তন বাড়ে আগের বছরের চেয়ে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রবৃদ্ধির হারটা যদি আমরা বাস্তব সম্মতভাবে যদি করতে না পারি, তাহলে অন্যান্য যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি সেখানে আমরা সঠিক পদক্ষেপটি নিতে পারবো না। কারণ এটা একটা মূল সূচক। পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মন্সুর বলেন, কোন দেশই সবসময় একই ভাবে সমান্তরালে উচ্চমূখে যায় নাই, যেতে পারে না। চীনেও প্রবৃদ্ধি কমে আসছে, বাংলাদেশে কমাটা স্বাভাবিক। প্রবৃদ্ধির এই সংখ্যাতাত্ত্বিক সন্তুষ্টি আবারো প্রশ্নবিদ্ধ করে, রাজস্ব আয় এবং ব্যাংক খাতের সার্বিক চিত্রকে। গেল কয়েক বছরে আয়োতন বেড়েছে কয়েকগুণ এতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু এই সময়ে এর মধ্যে যে বৈষম্য ও অব্যাবস্থাপনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে প্রবৃদ্ধির সুবিধা যেমন পৌঁছায়নি প্রান্তিক পর্যায়ে, তেমনি স্তায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নানান মহলে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply