ভারতের রাজস্থানে আলওয়ারে ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়ার কয়েক মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বৃহস্পতিবার এক আদেশে বলা তাৎক্ষণিকভাবে এটি কার্যকর হবে। পরে অবশ্য শুক্রবার দাড়ি কামাতে হবে-এমন আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে পুলিশ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে দাড়ি রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন ওই নয় পুলিশ সদস্য। তবে সেই আদেশ বাতিল করেন আলওয়ারের পুলিশ সুপার প্যারিস দেশমুখ। যাদের দাড়ি কাটতে বলা হয়েছিল, তারা হলেন- আব্বাস খান (কন্সটেবল), আরশাদ খান (কন্সটেবল), সামারদীন (কন্সটেবল), জাকাম খান (কন্সটেবল), মুস্তাক (কন্সটেবল), ইসরায়েল আহমাদ (এএসআই), দীন মোহাম্মদ (কন্সটেবল), শহিদ নিসার (কন্সটেবল) ও ছোটে খান (হেড কন্সটেবল)।
দেশমুখ সাংবাদিকদের বলেন, ওই আদেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তারা যেন ‘নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করতে পারেন। পুলিশের দায়িত্ব এমন যেখানে তাকে কেবল নিরপেক্ষভাবেই কাজ করতে হয় না, তার ‘লুক’ও নিরপেক্ষ হতে হয়।
পরে অবশ্য ব্যাপক বিতর্কের মুখে সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। আলওয়ারের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা শের মোহাম্মদ বলেছেন, দাড়ি কামানোর নির্দেশটি ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এবং পুলিশ বিভাগের একটি ‘ভুল নির্দেশনা’। কারণ এটির মাধ্যমে ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অসম্মান করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতীয় পুলিশ প্রশাসনের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান মনে করলে পুলিশ কর্মীরা দাড়ি রাখতে পারেন।
ভারতে মুসলিম পুলিশদের দাড়ি কামানোর নির্দেশ, পরে প্রত্যাহার
Tag: world
No comments: