রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব চায় বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তার সাথে দ্রুত ও স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক নেতৃত্ব চেয়েছে বাংলাদেশ।
সেই সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক রাবের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সংস্থা ইউএনবি জানায়, যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় মোমেন এ কথা বলেন বলে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ দিকে শুরু হওয়া মিয়ারমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসরদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুলিবর্ষণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও লুটের অভিযোগ রয়েছে রোহিঙ্গা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর। তবে মিয়ানমার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ঢাকা ও নেপিদো একটি চুক্তি সই করলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এদিকে, অভিনন্দন বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন যুক্তরাজ্যের সাথে বিদ্যমান ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কনজারভেটিভ পার্টির তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথের মধ্যকার স্থায়ী বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া, তিনি দুদেশের মধ্যকার চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্ধিত অংশীদারিত্বসহ গতিশীল নতুন ধাপে উন্নীত করার বিষয়ে নিজের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাজ্য। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩,৯৮৯.১২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করেছে।
No comments: