Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সরল বিশ্বাসে’ মানে কী?সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে।




দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের একটি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। তিনি বলেছেন, পেনাল কোড (সিআরপিসি) অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম কোনো অপরাধ নয়। এটাকে বলে জেনারেল এক্সসেপশন। কিন্তু এখানে শর্ত আছে, সরল বিশ্বাসটা যেন উইথ কেয়ার অ্যান্ড কসাস হয়। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে সরল বিশ্বাসে আপনি এ কাজটা করেছেন। তার বক্তব্যের সূত্র ধরে বিভিন্নমুখি আলোচনার মধ্যে সাধারণের মধ্যে প্রশ্ন: সরল বিশ্বাস মানে কী? বিষয়টি নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইন বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বলছেন, পেনাল কোড অনুযায়ী সরকারি চাকরীজীবীদের কৃতকর্ম কোনো অপরাধ নয়। তবে সরল বিশ্বাসে দুর্নীতিতে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম আর সরল বিশ্বাসে দুষ্কর্ম দুইটা দুই জিনিস। জেনারেল ক্লজেজ এ্যাক্ট ৩ (২০) ধারায় বলা হইয়াছে যে, সততার সহিত সরল বিশ্বাসে কোন কার্য সম্পাদন করা হইয়াছে, যা কিনা অবহেলাজনিত কারণে হতে পারে অথবা নাও হতে পারে। তামাদী আইনের ২ (৭) ধারায় সরল বিশ্বাসের সংজ্ঞায় বলা হইয়াছে যে, যদি যথাবিহিত যত্ন ও মনোযোগ সহকারে কোনো কাজ না করা হয় তাহা হইলে সরল বিশ্বাসে করা হইয়াছে বলিয়া বুঝাইবে না। দণ্ডবিধির ৫২ ধারায় সরল বিশ্বাসের সংজ্ঞায় বলা হইয়াছে যে, যথাবিহিত সতর্কতা ও মনোযোগে ব্যতিরেকে কিছু করা হইলে না কোনো কিছু বিশ্বাস করা হইলে তাহা ‘সরল বিশ্বাসে’ করা হইয়াছে বা তাহাতে সরল ‘বিশ্বাসে’ বিশ্বাস করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচনা করা হয় না। দণ্ডবিধির ৭৬ ধারা অনুসারে কোনো ব্যক্তি আইনবলে কোনো কার্য করিতে বাধ্য বলিয়া সরল বিশ্বাসে উক্ত কার্য করিলে তাহার অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না। বি ‘সরল বিশ্বাস’ মানে কী? জানতে চাইলে হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়াঅনলাইনকে বলেন: সরল বিশ্বাসে করা কর্মের আইনগুলোর মধ্যে একটা ডিসক্লেইমার থাকে। কোনো কারণে যদি সরকার বা কর্তৃপক্ষ কাজগুলো খারিজ করতে গিয়ে কোনো ধরণের ত্রুটি হয়ে গিয়ে থাকে যেটি ইচ্ছাকৃত না; তাহলে এটাকে কোন ধরণের অপরাধের পর্যায়ে ফেলা যাবে না। এটা ১৮৬০ সনের আইন। সেই সময় থেকেই এমনভাবে আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজটা করার কারণে কেউ যেন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে ফেলতে না পারে অর্থাৎ যে কাজ কাজটি তাকে করতে দেওয়া হয়েছে সেটা যেন করতে পারে। জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন: দুদক চেয়ারম্যান যদি পেনাল কোডের কথা উল্লেখ করে বলে থাকেন যে ‘সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম কোনো অপরাধ নয়’ তাহলে ঠিক আছে এটা আইনের মধ্যে আছে। আর যদি ‘সরল বিশ্বাসে দুর্নীতি জড়ালে’ শব্দটা যদি এইভাবে তিনি বলে থাকেন তাহলে বলব সরল বিশ্বাসে দুর্নীতিতে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি যদি হুবহু এ কথা বলে থাকেন এটাই একটা ক্রিমিনাল অফেন্স। এটা দুর্নীতিতে উৎসাহ দেওয়ার মতো, এটা খুবই অনাকাঙ্খিত এবং ভুল আইনি ব্যাখা। হাইকোর্টের এই আইনজীবী আরো বলেন: সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম আর সরল বিশ্বাসে দুষ্কর্ম দুইটা দুই জিনিস। সরল বিশ্বাসে কখনো দুর্নীতি হয় না, সরল বিশ্বাসে কেউ কারো টাকা খেয়ে ফেলতে পারবে না। ‘দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যে একটা নেতিবাচক প্রস্তাব আছে যেটা ওই অর্থটা বহন করে না যে অর্থে আইনটা আছে।’ জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন: দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে উৎসাহী হবেন। দুর্নীতি আমাদের সব থেকে বড় একটা সমস্যা। কাজেই শক্ত অবস্থান না নিয়ে দুদক চেয়ারম্যানের এ ধরণের কমেন্ট খুবই হতাশা জনক এবং আমার মনে হয় বিষয়টা অপরাধীদের উৎসাহিত করবে। খুরশীদ আলম খান দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিষয়ে সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য একটা ধারায় (সেকশন ৩১) বলা আছে, দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো কাজ করে সে ক্ষেত্রে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ‘‘দুদক চেয়ারম্যান পেনাল কোডের কোন ধারা মেনশন করে কথাটি বলেছেন সেটি জানতে হবে। পেনাল কোডে প্রায় তিনশ’র ওপরে ধারা আছে। উনার বক্তব্য ও তিনি কোন ধারার কথা বলেছেন এসব না জেনে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply