কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ইসবগুলের সুনাম রয়েছে। তবে এই ভুসি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
অন্ত্রের কার্যক্রম মসৃণ করতে ইসবগুলের জুড়ি নেই। তবে পুষ্টিবিজ্ঞান
বলছে পেটের সমস্যা দূর করা ছাড়াও এই ভুসি ওজন কমানোতে ভূমিকা রাখতে পারে।
আঁশ: শরীরের জন্য আঁশ অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান। আর ইসবগুলের ভুসি আঁশের একটি আদর্শ উৎস। এতে দ্রাব্য এবং অদ্রাব্য দুই ধরনের আঁশ থাকে।
ফলে অন্ত্রের কাজ মসৃণ করে। যা ওজন কমাতেও সহায়ক।
ক্যালরি:
ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি সহায়ক হওয়ার আরেকটি কারণ হল এতে ক্যালরি কম।
পুষ্টিবিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি দুই টেবিল-চামচ ভুসিতে থাকে মাত্র ৩২
ক্যালরি।
ক্ষুধা: ইসবগুলের ভুসি পানিতে মেশালে এর প্রকৃত আকারের ১০ গুন বেশি হারে ফুলে ওঠে। ফলে পেট ভরা থাকে দীর্ঘক্ষণ, ক্ষুধাও কমে।
মলাশয়ের পরিষ্কারক:
ইসবগুলের ভুসি মলাশয় পরিষ্কার রাখে। ফলে পুরো অন্ত্র ও পাকস্থলির
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন
কমাতে সাহায্য করে।
দেহের ফোলাভাব কমায়: মলাশয়
পরিষ্কার থাকলে হজম পক্রিয়া উন্নত হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে
স্বাভাবিকভাবেই দেহের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়ে শরীরর চর্বি কমাতে সাহায্য
করে।
খাওয়ার নিয়ম
কুসুম গরম পানিতে ইসবগুলের
ভুসি গুলে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। খাওয়ার ঠিক আগে
মিশ্রণটি পান করতে হবে। আবার দিনের শুরুতে খালি পেটেও গ্রহণ করা যেতে পারে।
সকালে পান করলে ওজন কমাতে সাহায্য করে বেশি।
আরেকটি উপায় হল, আধা
কাপ পানিতে এক চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিলে ফেলতে পারেন। তারপর
আরেক চামচ ভুসি একই পদ্ধতিতে গ্রহণ করুন। তারপর বড় এক গ্লাস পানি পান করতে
হবে।
মনে রাখতে হবে
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে ও পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ এই ভুসি পানিতে মেশার সঙ্গে সঙ্গেই আঠাল তরলের মতো হয়। তাই বেশি পানি পান করে শরীরে ভুসি ভালোভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রথমে শুরু করতে হবে আধা চামচ ভুসি থেকে। লক্ষ্য হবে প্রতিদিন দুই টেবিল-চামচ করে খাওয়া
পেটের সমস্যা দূর করা ছাড়াও ওজন কমাতে ইসবগুল!
Tag: Featured
No comments: