বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্তিম ওভার। মার্টিন গাপ্তিলের থ্রো বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারির সীমানা পার করায় ইংল্যান্ডের রানের খাতায় যোগ হয়েছিল ৬টি মূল্যবান রান। যা কার্যত ১৮০ ডিগ্রি মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বিগ ফাইনালের। কিন্তু পরবর্তীতে প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার সাইমন টাফেলের ব্যাখ্যায় আইসিসি’র নির্দেশিকা অনুযায়ী ৬ নয় বরং ওভার-থ্রো থেকে ইংল্যান্ডের পাওয়া উচিৎ ছিল ৫ রান।
অন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার গলদ ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের পথে সহায়ক হয়ে উঠেছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে এমন আম্পায়ারিং গলদ নিয়ে পরবর্তীতে বিতর্ক ওঠে চরমে। অবশেষে প্রায় এক সপ্তাহ পর বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর ‘আম্পায়ারিং ত্রুটি’ স্বীকার করে নিলেন শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা। সূত্রের খবর, দোষ স্বীকার করে ইংল্যান্ডের প্রথম সারির এক সংবাদপত্রকে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন ওভার-থ্রোয়ের কারণে এক রান কম দেওয়া উচিৎ ছিল।
মার্টিন গাপ্তিলের ওই ওভার-থ্রোয়ের আগে অন্তিম ৩ বলে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মূল্যবান ৯টি রান। চতুর্থ বলে গাপ্তিলের থ্রো ২ রান নিতে উদ্যত স্টোকসের ব্যাটে প্রতিহত হয়ে বাউন্ডারির সীমানা পার করে যায়। অন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার নির্দেশানুযায়ী ওই ডেলিভারি থেকে ইংল্যান্ডের রানের খাতায় যোগ হয় ৬ রান। ফলে সম্পূর্ণ পটপরিবর্তন হয়ে যায় ম্যাচের। শেষ ২ বল থেকে ইংরেজদের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় ৩ রান। যদিও শেষমেষ টাই হয়ে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে।
আরও পড়ুন: ইয়ামাগুচির কাছে হেরে খেতাব জয়ের অদূরে থামলেন সিন্ধু
সুপার ওভারও টাই হওয়ায় গোটা ম্যাচে বাউন্ডারি হাঁকানোর নিরিখে খেতাব ওঠে ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ডের হাতে। এরপরই আসরে নেমে সাইমন টাফেল জানান, ওভার-থ্রোয়ের কারণে অন্তম ওভারের চতুর্থ বলে ইংল্যান্ডের রানের খাতায় যোগ হওয়া উচিৎ ছিল ৫ রান। কারণ হিসেবে তাঁর মত, গাপ্তিলের থ্রোয়ের সময় ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান আদিল রশিদ ও বেন স্টোকস একে অপরকে ক্রস করেননি। তাই আইসিসি’র নিয়ম অনুসারে ৬ নয়, ইংল্যান্ডের রানের খাতায় যোগ হওয়া উচিৎ ছিল ৫ রান। এমনকি পরবর্তী ডেলিভারিতে অন-স্ট্রাইক থাকা উচিৎ ছিল রশিদের
অবশেষে ফাইনালে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ভুল স্বীকার ধর্মসেনার
Tag: Advertisement games world
No comments: