চট্টগ্রাম বন্দরে যানজটে বিপর্যস্ত দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য

চট্টগ্রাম বন্দরে যানজটে বিপর্যস্ত দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ন্ত্রণহীন যানজটে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশ এবং বাহিরে ধীরগতির কারণে মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা। যানজটে নাকাল হয়ে নগরীর কারখানায় ঢুকতে না পেরে বিমান বন্দর থেকেই ফিরে যাচ্ছে পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক ক্রেতারা। আগ্রাবাদের বাদামতলীর মোড় থেকে বিমান বন্দর রুটের যাত্রীদের কাছে বন্দর কেন্দ্রিক প্রতিটি সড়ক এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। যানজটের কবলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে হাজার হাজার যানবাহন। এমনিতেই বৃষ্টির পানি জমে রাস্তাগুলো ভেঙে চুরে একাকার। এর মাঝে শুরু হয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এবং লরিগুলোর চালক ও হেলপারদের ডাটা বেইজ তৈরির কাজ। বন্দরের গেটগুলোতে এ প্রক্রিয়া চলার কারণে যানজট বাড়ছে বলে মনে করছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সার্জেন্ট রুহুল আমিন বলেন, আগে দুই থেকে তিন মিনিট লাগতো এখন ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, হেলপার ও চালকদের এনআইডি কার্ড নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা ছিল তারা অনেকে এনআইডি কার্ড নিয়ে চলে আসে। এতে কার্ড চেক করতে এক-দুই মিনিট সময় লাগছে। জুলাই মাসের শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে অব্যাহত রয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন এ যানজট। যে কারণে শিল্প কারখানায় পৌঁছাতে পারছে না আমদানিকৃত কাঁচামাল। ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক হাকিম আলী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পুণ্য সঠিক সময়ে শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। আবার আমদানিকৃত পণ্যের কাঁচামালও সঠিক সময়ে কারাখানায় পৌঁছাতে পারছি না। এজন্য সবচে বড় ধরণের বিপর্যয় নেমে এসেছে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে। যানজটের কারণে নগরীর কারখানায় আসতে পারছেন না বিদেশি ক্রেতারা। ক্রয় অর্ডার না দিয়ে বিমানবন্দর থেকেই ফিরে যাচ্ছেন তারা। বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম চৌধুরী সেলিম বলেন, বন্দরে যানজটের কারণে অনেকে বিদেশি ক্রেতা বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এতে গার্মেন্টস সেক্টরে একটা বিশাল প্রভাব পড়বে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজারের বেশি ট্রাক, লরি এবং কাভার্ডভ্যান চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের সুযোগ পায়। একইভাবে সমপরিমাণ যানবাহন পণ্য নিয়ে বন্দর থেকে বের হয়ে আসে। এছাড়া বন্দরকেন্দ্রিক সড়কগুলো হয়ে বিমানবন্দর রুট দিয়ে আরও প্রায় ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।