Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » রোনালদো ভক্তের কাণ্ড




জুভেন্টাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভক্ত ১৪ বছরের আখমদি ইয়েরঝানভ। কাজাখস্তানের এই ছোট্ট ছেলেটি রোনালদোর খেলা দেখতেই বাবাকে নিয়ে উড়ে এসেছিল সিঙ্গাপুরে। প্রাক-মওসুম প্রস্তুতি ম্যাচে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে খেলতে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিল রোনালদোর দল জুভেন্টাস। সেই ম্যাচ দেখতেই সিঙ্গাপুর এসেছিল ফুটবল ভক্ত আখমদি। কিন্তু গ্যালারি থেকে রোনালদোকে দেখে সাধ মেটেনি কাজাখস্তানের এই তরুণের। তাই খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে যায় স্বপ্নের নায়ককে কাছ থেকে দেখার জন্য। আর এর জন্যই আটক করা হয় রোনালদোর এই ক্ষুদে ভক্তকে। পরে সংবাদ মাধ্যমকে আখমদি বলেছে, সেদিন ম্যাচে আমার প্রিয় দল জুভেন্টাস ২-৩ হেরে যাওয়ায় মন কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চোখের সামনে রোনালদোকে গোল করতে দেখে খুশিও হয়েছিলাম। সেই আনন্দেই খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়ি। তারপরে এক দৌড়ে চলে গিয়েছিলাম জুভেন্টাস রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে। কারণ তখন সেখানেই বসেছিলেন রোনালদো। তবে এত সহজে রোনালদোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসতে পারেনি আখমদি। জুভেন্টাস রিজার্ভ বেঞ্চের সামনেই তাকে ঘিরে ধরে সিঙ্গাপুরের পুলিশ। সেখানে তার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান জুভেন্টাস ম্যানেজার মাউরিসিয়ো সাররি। সংবাদ মাধ্যমকে সাররি জানিয়েছেন, আমি হঠাৎ দেখি বাচ্চা ছেলেটা দৌড়ে আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে এগিয়ে আসছে। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম ছেলেটা নিশ্চয়ই রোনালদোর সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। তাই নিরাপত্তারক্ষীদের হাত থেকে বাঁচিয়ে ওই বাচ্চা ফুটবল প্রেমিককে নিয়ে যাই রোনালদোর কাছে। কারণ ওকে ফুটবল ভক্ত হিসেবেই দেখেছিলাম। মাঠে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখিনি। রোনালদোর কাছে গিয়ে আখমদি প্রথমে সেলফি তোলে। তারপরে সি আর সেভেনের সঙ্গে ‘হাই ফাইভ’ করে সে। রোনালদো কিন্তু এই ভক্তের সঙ্গে গল্পও করেন। আখমদি সাংবাদিকদের বলেছে, ক্রিশ্চিয়ানোকে বলেছিলাম, কাজাখস্তান থেকে বাবার সঙ্গে উড়ে এসেছি তোমাকে দেখব বলে। কারণ আমি তোমার একজন অন্ধ ভক্ত। একথা শুনে রোনালদো তার এই কাজাখ ভক্তকে বলেন, আমি তোমার দেশেও গিয়েছি। আখমদি আরও বলে, রোনালদো আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পানির বোতল আমার হাতে তুলে দেয়। ম্যাচের পরেই স্থানীয় পুলিশ আখমদি ও তার বাবাকে আটক করে। বড় জরিমানা করা হবে বলা জানানো হয় তাদের। বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের কাজাখ দূতাবাসের সাহায্য নেয় বাবা ও ছেলে। শেষ পর্যন্ত দূতাবাসের হস্তক্ষেপে বকাঝকা করে ছেড়ে দেওয়া হয় আখমদিকে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply