বরগুনায় গ্যাং কালচার গড়ে ওঠার আসল কারণ কী?
প্রভাব বিস্তার আর ইয়াবাসহ মাদক বিক্রিকে কেন্দ্র করে বরগুনায় বিভিন্ন গ্রুপ এবং গ্যাং গড়ে উঠেছে। জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এবং সাধারণ মানুষ বলছেন, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ এর পেছনে রয়েছেন।
গ্যাংগুলোর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ত্রাস সৃষ্টিকারী নয়ন বন্ডের গ্রুপ সম্প্রতি রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে হত্যা করে। তবে সুনাম দেবনাথ এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
উপকূলের ছোট শহর বরগুনায় রাজনৈতিক কোন্দলের সাথে গত কয়েক বছরে ইয়াবারও বিস্তার বেড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তারা বলেন, ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অনেক গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তেমনই একটি গ্রুপ গড়ে তোলেন সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। এতে রিফাত শরীফ হত্যার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আসামি রিফাত ফরাজী এবং রিশান ফরাজী দুই ভাইও ছিলেন। মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
সাধারণ মানুষ এবং বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জানান, রিফাত ফরাজী এবং রিশান ফরাজী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা প্রশাসনের প্রশাসক, দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রীর ভাগ্নে।
এই দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরোধ দিয়েই বরগুনায় আওয়ামী লীগের কোন্দল চরমে পৌঁছে।
দেলোয়ার হোসেনের ওই দুই ভাগ্নেকে বরগুনার প্যানেল মেয়রের ছেলে জন এবং সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ দু’জনই ছত্রছায়া দিতো বলে জানিয়েছেন বরগুনার জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু এবং সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক।
বরগুনার সাধারণ মানুষ বলছেন, মাদক ব্যবসার সাথে গ্যাং গড়ে তোলা এবং এর সাথে প্রভাবশালীদের প্রশ্রয় না থাকলে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার মতো সাহস পেতো না সন্ত্রাসীরা
Tag: others
No comments: