শতমূলী বা শতবরী
বৈজ্ঞানিক নাম: Asparagus racemosus Willd..
সমনাম: Asparagus rigidulus Nakai; Protasparagus racemosus (Willd.) Oberm.
সাধারণ নাম: satavar, shatavari, or shatamull
বাংলা নাম: শতমূলী, বা শতমূল বা শতবরী
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae
বিভাগ: Angiosperms
অবিন্যাসিত: Monocots
বর্গ: Asparagales
পরিবার: Asparagaceae
গণ: Asparagus
প্রজাতি: Asparagus racemosus Willd..
ব্যবহৃত অংশ: ঔষধার্থে ব্যবহার হয় মূল ও পাতা। আয়ুর্বেদে শতাবরী ও মহাশতাবরী নামে দুটি প্রকারভেদের উল্লেখ রয়েছে, তবে অনেকের মতে এটির বৈজ্ঞানিক নাম Asparagus Sarmentosus Linn. যৌন উত্তেজনা বাড়ায়, পাকস্থলীর ও জিহ্বার ঘা, ফুসফুসের পানি রোগ সারাতে ভালো কাজ করে। স্বরভঙ্গে ও রাতকানা রোগ সারাতে শতমূলী বেশ উপকারি।
বিস্তৃতি: এই মহাশতাবরীর জন্ম বেশির ভাগই দক্ষিণ ভারতে; এর লতাও বেশ বড় হয়, এমনকি বড় গাছের উচ্চতা যতখানি প্রায় ততদূর এর বৃদ্ধি। এর আদিনিবাস ভারত এবং বাংলাদেশ। [২]
চাষ পদ্ধতি: এই লতা বীজের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে থাকে। উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে এবং বালুযুক্ত মাটিতে এই গাছ ভালো হয়। শতমূলী দো-আঁশ ও বালু মাটিতেও খুব ভালো হয়। বীজ বপনের আগে ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। বীজের অঙ্কুরোদগম হতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। অঙ্কুরিত চারার বয়স ২ থেকে ৩ মাস হলে তা বপন করতে হয়।[৩]
তথ্যসূত্রঃ
১ আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি‘ খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ
No comments: