১৩৩ বছরের পা দিল চট্টগ্রাম বন্দর

১৩৩ বছরের পা দিল চট্টগ্রাম বন্দর ১৩৩ বছরে পা দিলো দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম। নানা সমস্যা, জটিলতার পাশাপাশি বড় কোনো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকা সত্ত্বেও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের ৭০তম বন্দরের তালিকায় উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরটি। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর বন্দরের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ বন্দর ব্যবহারকারীদের। বিশ্বে ছোট-বড় বন্দর রয়েছে চার হাজারের বেশি। এর মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা সম্পন্ন বন্দর রয়েছে অন্তত ৫শ। শিপিংভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল লয়েড'সের তালিকায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে শীর্ষ একশো বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের স্থান ৭০তম। ২০১৭ সালে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হলেও গত বছর তা ২৯ লাখ ছাড়িয়ে যায়। রেকর্ড পরিমাণ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এবং ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সত্বেও এ বন্দরের রয়েছে নানা সমস্যা। এ বন্দর জাহাজ আসার ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়েছে। মাত্র ১৮টি জেটি এবং বর্হিনোঙ্গরে গত বছর জাহাজ এসেছে ৩ হাজার ৭শ ৪৭টি। যা আগের বছরে চেয়ে প্রায় পৌনে ৪ শ বেশি। আগামী বছরের মধ্যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বন্দরের এখন'ই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ১৮ টা জেটি থেকে ৬০ টা জেটিতে উন্নীত করতে হবে। সর্বোপরি বেটারম্যান্ট দরকার। সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। তবে বন্দর কর্মকর্তাদের দাবি, গত দু'বছরে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ১ হাজার কোটি টাকার ৬০ রকমের যন্ত্রাপাতি কেনার পাশাপাশি নতুন অন্তত ৫টি ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ চলছে। গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার ছাড়াও ৯ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে।