‘গরুচোর’ হিসেবে গণধোলাই খেলেন ইউপি চেয়ারম্যান
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর মাজারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পাশ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি তালুকদারকে রাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হবি তালুকদার সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর মাজারপাড় এলাকার আজাহার উদ্দিনের মেয়ে শারমিন আক্তারের (২২) তালাক বিষয়ে বেশ কয়েক দফায় সালিশী বৈঠক শেষে তালাকের ব্যবস্থা করে দেন। সে সুবাদে ওই চেয়ারম্যান ও মেয়েটির মধ্যে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটরসাইকেল যোগে ইউপি চেয়ারম্যান গোপনে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে এলে স্থানীয়রা ‘গরুচোর’ মনে করে চেয়ারম্যানকে ব্যাপক মারধর করে আটকে রাখেন। পরে রাতেই স্থানীয় ও বাসাইলের মাতাব্বরগণ ঘটনাস্থল এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উপজেলার ৭নং দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াহাব আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শাইফুল ইসলাম শামীম বলেন- রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হবি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করি। তবে বিষয়টি নিত্তান্তই ভুল বুঝাবুঝি বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হবি তালুকদার বলেন, ওই মেয়েটি বাড়ির পাশ দিয়েই আমি সখীপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। স্থানীয় পাবলিক আমাকে চিনতে না পেরে গরুচোর মনে করে আমার ওপর হামলা চালায়। পরে আমার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।
No comments: