যুবলীগের দুই নেতা হত্যা সাবেক এমপি রানার জামিন স্থগিতই থাকছে
যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, মনসুরুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
পরে সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘হাইকোর্ট জামিন দিয়েছিলেন। পরে চেম্বার আদালত স্থগিত করেছিলেন। আজ আপিল বিভাগ সে স্থগিতাদেশ কন্টিনিউ করেছেন।’
গত ৬ মার্চ যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্ট তাঁকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ১৪ মার্চ আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত করেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাঁদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরের দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।
Tag: politics
No comments: