আমরা চাই রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরে যাক: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে আমাদের বর্ষাকাল যে কোন মুহূর্তে ঝড়-জলচ্ছাস হতে পারে। কিছু হলে রোহিঙ্গাদের দায়ভার কে নিবে? তাই আমরা চাই রোহিঙ্গারা তাদের বাড়ি-ঘরেই ফিরে যাক।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
সম্মেলনে দৈনিক সংবাদের প্রধান প্রতিবেদক সালাম জোবায়ের এর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠানো এবং এ সমস্যা সমাধানে আপনার সরকার কি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। আলোচনা করেছি। চুক্তিও করেছি। যখনই রোহিঙ্গাদের যাওয়ার কথা তখনই তারা শুরু করলো যাবে না।
রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা উদ্যোগ্য নিচ্ছে না। চীন-ভারত, জাপান, রাশিয়ার উচিত হবে মিয়ানমারকে বলা।
তিনটি প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে আলাপ করলে আমি বলেছি আপনারা মিয়ানমারে গিয়ে কিছু করেন। এখানে এ সমস্যায় কারো উপর দোষারোপ করে নয়, এখানে যত ভালো থাকা যায়, ওখানে তত ভালো থাকা যায় না।
সামনে আমাদের বর্ষাকাল যে কোন মুহূর্তে ঝড়-জলচ্ছাস হতে পারে। কিছু হলে তাদের দায়ভার কে নিবে। আমরা চাই রোহিঙ্গারা তাদের বাড়ি- ঘরে ফিরে যাক।
রোহিঙ্গাদের ভাষাণচরে পাঠানোর ব্যাপারে কি করনীয় আছে দৈনিক মানব কণ্ঠের বিশেষ প্রতিবেদক সিদ্দিকুর রহমান এর এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপ দিতে পারি না। জাতিসঙ্ঘের যে সমস্ত সংস্থা আছে, তাদের আমরা বলেছি। কক্সবাজার যাওয়া সহজ। এই রিফুজিরা যে অবস্থায় পলিথিন বিছিয়ে থাকে। ৪০ হাজার শিশু আছে। এরা যেতে চাইলেও বিভিন্ন সংস্থা সেটা চাইনা। আপনারা যারা সাংবাদিক সেই সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় হামলার বিষয় তুলে সাংবাদিক শাহনাজ রুমা জানতে চান ওই দেশগুলোতে যদি এমন জঙ্গি হামলা হয়, সেখানে বাংলাদেশ কতটা শান্তিতে থাকতে পারবে? ইত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ একটা দেশ নিউজিল্যান্ড। সেখানে যদি এ ধরণের জঙ্গি তৎপরতা হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশে তো প্রায়ই জঙ্গি তৎপরতা লেগেই থাকে। ২৪ জানুয়ারী চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা। গ্রেনেড হামলা। শেখ ফজলুল হক সেলিমের নাতীকে মারা হলো।
ব্রুনাই সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করলেও সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বরাবরের মতো সমসাময়িক রাজনীতির বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে।
উল্লেখ্য, ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে গত রোববার তিন দিনের সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দেশে ফেরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই এবং কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিতে কূটনৈতিক নোট বিনিময় হয়েছে। সই হওয়া সমঝোতাগুলো হচ্ছে- কৃষি, মৎস্যসম্পদ, প্রাণিসম্পদ, শিল্প ও সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া খাতের সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এলএনজি ও এলপিজি সরবরাহ।
আরকে//
Tag: politics
No comments: