কীভাবে প্রবৃদ্ধির এত উচ্চ হার, সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইল সিপিডি
মঙ্গলবার ‘সরকারের ১০০ দিন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বেসরকারি বিনিয়োগের অবস্থা খারাপ, কর আহরণ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমুখী, কর্মসংস্থান বিশেষ করে শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের অবস্থা খুবই নাজুক, ক্রমেই প্রকট হচ্ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং ব্যাংক ও পুঁজিবাজার ধারাবাহিকভাবে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় কিভাবে প্রবৃদ্ধির এত উচ্চ হার হতে পারে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা সরকারের কাছে চেয়েছেন ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, যেই সমস্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধি অনুমিত হয়েছে তাকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা হোক।
মঙ্গলবার ‘সরকারের ১০০ দিন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষে এমন দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে অর্থনীতির নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে প্রবৃদ্ধির উচ্চহার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সিপিডি।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকারের প্রথম ১০০ দিন ছিল অর্থনীতির জন্য উদ্যোগহীন, উদ্যমহীন ও উচ্ছ্বাসহীন। সরকার তার ১০০ দিন পার করল। সরকারকে মূল্যায়ন করার জন্য ১০০ দিন খুব একটা যথেষ্ট নয়। তারপরও সিপিডি মনে করে প্রথম ১০০ দিনে নেওয়া সরকারের উদ্যোগ পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট হয় অর্থনীতি কোন দিকে যাচ্ছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বড় ধরনের ১০০ দিনের উত্থানের ওপর প্রোথিত হবে, সেটা আমরা লক্ষ করিনি। আমরা যেটা দেখেছি, ধারাবাহিকতার গতানুগতিকতা। কোথায় সরকারকে একটি প্রোথিত গোষ্ঠী যেন করায়ত্ব করে নীতিনির্ধারণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষিতদের মধ্যে যেভাবে বেকারত্ব বাড়ছে, তা বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীর সুবিধা বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলেই ইঙ্গিত দেয়। অথচ এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের ওপর ভর করে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
No comments: