এটিএম শামসুজ্জামান হাসপাতালে ভর্তি
। অসুস্থবোধ করায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক আলহাজ্ব সালেহ জামান সেলিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সালেহ জামান সেলিম জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে এটিএম শামসুজ্জামান নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে শুক্রবার রাতে বেশি অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি প্রফেসর ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ দুপুরে এটিএম শামসুজ্জামানের একটি অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এটিএম শামসুজ্জামানের ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি। তিনি ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিল আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।
এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য। সিনেমার পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এ সিনেমার মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। সিনেমার পাশাপাশি তিনি অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে আসন গেড়ে আছেন।
No comments: