মরদেহের পেটে ১১ প্যাকেট ইয়াবা
করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে ওই জুলহাস মিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর কমলাপুর জামে মসজিদের সামনে থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। পরে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যায়।
ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে মতিঝিল থেকে আসা জুলহাস নামের একজনের ময়নাতদন্ত করি। পরে তার পেট থেকে ১১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া যায়। এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট গলে যায়। আর গলে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। কয়েকটা ইয়াবা নিয়ে পরীক্ষানাগারে পাঠানো হয়েছে।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুরুল হাসান খান বলেন, শুক্রবার বেলা পৌনে ১টার দিকে মুগদা হাসপাতাল থেকে জুলহাসের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়।
জুলহাসের ছোট ভাই মেহেদী হাসান জানায়, তাদের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ভবানিপুর গ্রামে। গত ২১ এপ্রিল গ্রাম থেকে ঢাকার মিরপুরে আসে। ২৪ এপ্রিল তার সাথে কথা হয়। গতকাল সকালে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি তার অসুস্থতার খবর। এলাকায় জুলহাস কাঠের ব্যবসা করতো। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে গ্রামে থাকতো।
No comments: