Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » শ্রীলঙ্কাজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান




শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার পর পুরো দেশজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নেমেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই অভিযানের মধ্যেই অস্ত্রধারীদের সাথে তাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, শুক্রবার বাত্তিকালোয়া শহরের কাছের আমপারা এলাকায় অভিযানের সময় বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আরেক শহর কালমুনাইয়েও ৩টি বিস্ফোরণ হয়। তবে কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অভিযানে আইএস জঙ্গিদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাত্তিকালোয়া শহরের কাছের আমপারা এলাকায় সেনাসদস্যরা একটি বিস্ফোরণের উৎস সন্ধানে গেলে তাদের দিকে গুলিবর্ষণ হয়। অভিযান চলাকালে কালমুনাই শহরেও ৩টি বিস্ফোরণ হয়। অভিযানে আইএস জঙ্গিদের ইউনিফর্ম, পতাকা, বিস্ফোরক, বোমা বানানোর অন্যান্য সরঞ্জাম ও একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা জঙ্গিবাদ নির্মূলে শ্রীলঙ্কার ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো ঘোষণা দেন। শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাতে সিরিসেনা জানান: ইসলামিক স্টেটের ১৩০ জনের মতো জঙ্গি রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এদের মধ্যে ৭০ জনকে খুঁজছে সেখানকার পুলিশ। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা স্পষ্ট করে বলেননি জাহরান হাশিম শাংরি-লা হোটেলের হামলায় ঠিক কী ভূমিকা পালন করেছিলো। এই হামলার জন্য শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একটি জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত’কে দায়ী করছে। জাহরান হাশিম শ্রীলঙ্কার একজন কট্টরপন্থী জঙ্গি মুসলিম নেতা। শ্রীলঙ্কায় বেশ কিছু বুদ্ধ মূর্তির মুখ বিকৃত করার ঘটনায় তার কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কোনো ভিডিওতে জাহরান হাশিম অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলার ডাক দেন। ইস্টার সানডের সন্ত্রাসী হামলার পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) একটি ভিডিও প্রকাশ করে ঘটনার দায় স্বীকার করে। ওই ভিডিওতে হামলায় অংশ নেওয়া সাত জনসহ জাহরান হাশিমকে ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা যায়। তবে ভিডিওতে একমাত্র জাহরান হাশিম ছাড়া অন্যদের মুখ ঢাকা ছিল। তাদেরকে সেদিনের আত্মঘাতী হামলাকারী বলে মনে করা হচ্ছে। ২১ এপ্রিল সকালে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা ও ৩টি পাঁচ তারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় ২৫৩ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৫শ’রও বেশি। হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply