সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে। শীত আর নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে লাখ লাখ মুসুল্লি এই ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ অনুসারীদের দুদিন করে পৃথক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এবারের বিশ্ব ইজতেমায় দুটি আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা জোবায়েরপন্থীদের ব্যবস্থাপনায় আখেরি মোনাজাত হবে আজ শনিবার। এই ধাপে রয়েছেন জোবায়েরপন্থী আলেম-ওলেমা কওমিপন্থী তাবলিগ জামাতের অনুসারী মুসুল্লিরা। দ্বিতীয় ধাপের নেতৃত্বে থাকছেন বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির ভারতের মাওলানা সাদ সমর্থক ওয়াসেকুল ইসলামের অনুসারীরা। সেটি শুরু হবে কাল রোববার থেকে।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ সকাল সোয়া ১০টায় হতে পারে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ জোবায়ের। গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ সকাল সোয়া ১০টায় হতে পারে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ জোবায়ের। গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
জুমার নামাজে অংশ নিতে মুসুল্লিদের ঢল
ইজতেমায় যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি নানা বিড়ম্বনাকে উপেক্ষা করে শুক্রবারও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন। জুমার দিন হওয়ায় সকাল থেকেই টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার লাখো মুসুল্লির ঢল নামে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসুল্লিরা অংশ নেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশেপাশের সড়ক ও গলিগুলোর ওপর। আখেরি মোনাজাতের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মুসল্লিদের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার প্রথম দিনে বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে জোবায়ের অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার বয়ান শুরু হয়েছে। আজ শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের দুই দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে যথারীতি তাবলীগের ছয় উসুল অর্থাৎ কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, সহীহ নিয়ত ও তাবলিগ বিষয়ে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার প্রথম পর্বের দুইদিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
ইজতেমা ময়দানে আল্লামা শফী
হেফাজতে ইসলামের আমির, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শাহ শফী শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন। তিনি শনিবার আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে অবস্থান করবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালী থেকে বেসরকারি হেলিকপ্টারে করে টঙ্গীর বাটা সু কারখানা এলাকার হেলিপ্যাডে নামেন। পরে সেখান থেকে তিনি (মেয়র) নিজ গাড়িতে করে তাঁকে (আল্লামা শফী) ইজতেমা ময়দানে নির্দিষ্ট কামড়ায় পৌঁছে দেন।
মেয়র জাহাঙ্গীর জানান, হেফাজতে ইসলামের আমির শনিবার আখেরি মোনাজাতেও অংশ নেবেন এবং আবার হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে চলে যাবেন।
জুমার নামাজে ভিআইপিদের অংশগ্রহণ
বিশ্ব ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হজরত মাওলানা জোবায়ের। এদিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কমিশনার ওয়াইএম বেলালুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ আদায় করেন।
এ ছাড়াও সাদ বিরোধী হিসেবে পরিচিত তাবলিগের একটি অংশ মাওলানা আহম্মেদ লাটসহ তার সফরসঙ্গীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজতেমা মাঠে এসে পৌঁছেছেন। তিনি ইজতেমা ময়দানে বয়ানও করেছেন। বর্তমানে টঙ্গী তাবলিগ জামাত দুটি ভাগে বিভক্ত হলেও স্থানীয় সাংসদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে দুইপক্ষকে একত্রিত করে এক সঙ্গে ইজতেমার আয়োজনে সফল হন।
ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, শুক্রবার বাদ ফজর উর্দুতে চূড়ান্ত আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক মূল বয়ান শুরু করেন। আর বাংলাদেশের নোয়াখালীর মাওলানা নূরুর রহমান তা বাংলায় তরজমা করেন। ইজতেমাস্থলের বয়ান মঞ্চ থেকে মূল বয়ান উর্দুতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে ২৪টি ভাষায় তা তরজমা হচ্ছে। পরে তাবলিগ মারকাজের শুরা সদস্য ও বুর্জুগরা ঈমান, আমল ও দাওয়াতের মেহনত সম্পর্কে ফজিলতপূর্ণ সারগর্ভ বয়ান করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়।
আয়োজকরা বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচির মধ্যে আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ছয় উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানোসহ নতুন জামাত তৈরি হবে। তবে এ বছরও যৌতুকবিহীন বিয়ে হবে না।
আজ শনিবার মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মোনাজাত শেষে জোবায়ের অনুসারীরা ময়দান ছেড়ে চলে গেলে রোববার থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় ইজতেমা ফের শুরু হবে। সোমবার মাওলানা সাদপন্থীদের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ পর্বের চার দিনের বিশ্ব ইজতেমা।
বয়ানে যা বলা হয়েছে
শুক্রবার বয়ানে বলা হয়, পৃথিবীতে ঈমানের মূল্য অনেক বেশি। ঈমানকে মজবুত করতে হলে আমাদের দাওয়াতি কাজে সময় লাগাতে হবে। আমরা যেন আল্লাহপাকের হুকুমমতো সারাজীবন চলতে পারি, সে চেষ্টা করতে হবে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ও সারা দুনিয়ায় মানুষের মধ্যে দীন কায়েম করার জন্য ছড়িয়ে পড়তে হবে। দ্বীনের জন্য মেহনত করতে হবে। নিজের আমল দিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল যে কাজে খুশি হন তা আমাদের বেশি বেশি করতে হবে। আমাদের সবার আখেরাতের চিরস্থায়ী জিন্দেগির জন্য আবাদ করতে হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, জুমার নামাজ আদায় করতে আশপাশের জেলার অনেক মুসুল্লিরা এখানে আসেন। জুমার নামাজ উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যানজটমুক্তভাবে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয়েছে।
পুরিশ কমিশনার বলেন, শনিবার মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। অংশ নেওয়া মুসুল্লি ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকে অসংখ্য মুসুল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা এলাকায় আসেন। সেটির জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে টঙ্গী ব্রিজ, কামারপাড়া ব্রিজ, ভোগড়া বাইপাস, মীরেরবাজার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ইজতেমা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। ইজতেমা শেষে যাওয়ার সময় একই ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে। আমরা নাগরিকদের কাছে আশা করব তারা যেন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য রাস্তায় যে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে তাদের সহযোগিতা করবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, মুসুল্লিদের যাতায়াতের জন্য ১৩৮টি বিশেষ ট্রেন, ৪০০টি বিআরটিসি বাস, পর্যাপ্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য ৯ হাজার পুলিশ, দুই শতাধিক র্যাব, ৩ শতাধিক আনসার, ৩ শতাধিক ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিয়োজিত আছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইজতেমা মাঠে মোতায়েন রয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পুরো ইজতেমা মাঠ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে।
জেলা প্রশাসক জানান, ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের চলাচলের জন্য ১৭টি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ খাবার ও আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণ আতঙ্কে আহত ২০
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে বয়ান মঞ্চের দক্ষিণে রান্না করার সময় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের গুজবে আতঙ্কিত হয়ে মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় আশপাশে রান্না চলাকালে চুলার গরম হাঁড়ি-পাতিল পড়ে গিয়ে চুলার আগুনে পড়ে, গরম পানিতে ও দা-বঁটিতে কাটা পড়ে অন্তত ২০ মুসুল্লি আহত হয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আজাদ মিয়া জানান, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা থেকে শব্দ হয়। এ সময় আশপাশে থাকা মুসুল্লিরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। এতে পড়ে গিয়ে মুসুল্লিদের কেউ কেউ দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আহতদের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে এবং স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই ঘটনায় আহত ও দগ্ধ কয়েকজন মুসুল্লি র্যাবের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর হাসান মাহমুদ ও হারুন অর রশিদ, খুলনার খালিদ হাসান, টাঙ্গাইলের জাবেদ শিকদার, রাজশাহীর জোবায়ের, জামালপুরের নজরুল ইসলাম, ঢাকার সাভারের মনিরুজ্জামান, যাত্রাবাড়ীর মুজাহিদুল ইসলাম ও ওমায়ের, লক্ষ্মীপুরের জাহিদ, সিরাজগঞ্জের জাহিদুল ইসলাম ও মাহদুল হাসান, বরিশালের আরিফুল ইসলাম ও ময়মনসিংহের আজাহারুল ইসলাম।
আরো দুই মুসুল্লির মৃত্যু
বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরো দুই মুসুল্লি মারা গেছেন। তাঁরা হলেন ফেনীর সফিকুর রহমান (৫৮) ও কুষ্টিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম (৬৫)।
বিশ্ব ইজতেমার মাসলেহাল জামাতের জিম্মাদার আদম আলী জানান, শুক্রবার ভোরে পৌনে ৫টার দিকে সফিকুর রহমান ও বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিরাজুল ইসলাম মারা গেছেন। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুই মুসুল্লি মারা যান। এ নিয়ে গত দুই দিনে চারজন মুসুল্লির মৃত্যু হলো।
বিদেশি মুসুল্লি
পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, ইজতেমার পর্বের প্রথম দিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, লেবানন, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, আফ্রিকা, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রায় এক হাজারেরও বেশি মুসুল্লি অংশ নিয়েছেন।
ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে দায়িত্বপালনরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এবার দেশি মুসুল্লির সংখ্যা বাড়লেও বিদেশি মুসুল্লির সংখ্যা কমেছে।
ইজতেমার মুরুব্বিদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয়। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
No comments: