Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » পাকিস্তানের কাছ থেকে মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা কেড়ে নিল ভারত




বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জাতীয় সড়কের ওপর সিআরপিএফের বহরে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিদের হামলা চালানোর ঘটনায় এবার পাকিস্তানের ওপর থেকে ‘মোস্ট ফেবার্ড নেশনের’ তকমা কেড়ে নিল ভারত। পুলওয়ামার ওই ঘটনায় ভারতের ৪৪ জন ভারতীয় সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পরেই শুক্রবার সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনসহ ভারতের তিন বাহিনীর প্রধানরা। জানা গেছে, ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাকিস্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা। এই তকমা আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের অন্তর্গত। এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে কোনো দেশকে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা দেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে কেনা হয় নানা সামগ্রী। ১৯৯৬ সালে ভারতের তরফে পাকিস্তানকে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এরপর ভারত পাকিস্তানের কাছ থেকে সিমেন্ট, চিনি, ফল, ড্রাই ফ্রুটস, মিনারেল ওয়াটার, স্টিলসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনে। এবার থেকে ভারত আর পাকিস্তানের কাছ থেকে সেগুলো কিনবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল। শুক্রবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা পাকিস্তানের ওপর থেকে কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, ভারতের এই সিদ্ধান্তে বেশ খানিকটাই ধাক্কা খেতে পারে পাকিস্তান। কারণ, এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুকছে। তার ওপর বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে তার বড় প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের ওপর। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের কাশ্মীরের উরি সেক্টরে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ। তারপর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বন্ধ করার দাবি উঠেছিলো। তবে সেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও এবারে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মোদি সরকার।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply