ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪৪ জওয়ান নিহতের জেরে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে জম্মু শহর। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির ফলে সেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ভয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করাসহ কারফিউ জারি ও মোবাইল ইন্টারনেট পরিসেবা স্থগিত করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের একটি সূত্র বলছে, হামলাকারীরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় পার্ক করে রাখা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ত্রাসী হামলায় সিআরপিএফের বহু জওয়ান হতাহতের প্রতিবাদে জম্মুতে আজ সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী স্লোগান দেন ও বিভিন্ন প্রতিবাদী দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। জম্মুর বিভিন্ন এলাকায় এদিন সড়ক অবরোধ করে সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্ষুব্ধ জনতা।
নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের কফিন
এদিন বজরং দল, শিবসেনা ও ডোগরা ফ্রন্টের নেতৃত্বে মোমবাতি মিছিল করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সেখানকার জনতা। বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালানোসহ সড়কে থাকা অনেক গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। দিনভর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের কর্মকর্তারা জনসাধারণকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
আজ জম্মুর গুজ্জরনগরে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। জম্মু ট্যুরিস্ট সেন্টারের সামনে একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানকার কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে হয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্যের আর্জি জানান। জম্মুর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রমেশ কুমার বলেন, আমরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কারফিউ জারি করেছি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপুরা এলাকায় সিআরপিএফের প্রায় ৭৮টি গাড়ি লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় বাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলায় প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।#
No comments: