টাঙ্গাইলে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই প্রভাবশালীরা বন এলাকার ভেতরেই গড়ে তুলেছে ইট ভাটা। ফলে একদিকে যেমন ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আশপাশের কৃষকের ফসলি জমিতে প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে বনের শাল ও গজারি গাছগুলো ব্যাপক হুমকির মুখে রয়েছে।
বেশিরভাগ ভাটায় হাইকোর্টের রিট আদেশ থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তবে অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ফসলী জমি, ঘনবসতি এলাকা এবং বন এলাকার ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণ নিষেধ থাকলেও কোনটিই মানছে না স্থানীয় প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকরা।
সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল এলাকায় একেবারে বনের ভিতরেই বনের জায়গা দখল করে ইটভাটা নির্মাণ করে বনের গাছ পুড়িয়ে অবাধে ইট প্রস্তুত করছে তারা। ফলে একদিকে কৃষিজমি ও আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অন্যদিকে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শাল গজারির বন চরমভাবে হুমকির মুখে রয়েছে। ভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ কিছুই বলতে সাহস পায় না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের এখানে শাকসবজি কম আসে। ইটভাটার কালি নিয়ে আমাদের সমস্যা হয়। গাছে ফল ধরে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানিয়েছেন, বনের ভিতরে ইটভাটা নির্মাণের সত্যতা রয়েছে। তবে ভাটাগুলোতে মহামান্য হাইকোর্টের রিট আদেশ থাকায় কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে ছাড়পত্রবিহীন ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহেদুল ইসলাম বলেন, কিছু ইটভাটা আছে যেগুলোর বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে ব্যবস্থা নিতে পারবো না। তারা আদালত থেকে সাময়িক একটা রায় নিয়ে পরিচালনা করছে। সেই রায়গুলো ভ্যাকেট করার জন্য এর মধ্যেই উত্তর দিয়েছি।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, 'মামলাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলায় মোট ভাটার সংখ্যা ২৮৪টি। এর মধ্যে বৈধ ভাটার সংখ্যা মাত্র ১১৯টি, অবৈধ ভাটা ( হাই কোর্টে রিট করা) ১৪৮টি, অবৈধ ১৭টি।
No comments: