বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দীর রোগীদের

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় হতবিহবল হয়ে পড়েন রোগী ও স্বজনরা। আকস্মিক ঘটনায় দুর্ভোগে পড়েন সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীরা। আগুন লাগার পর, তৎক্ষণাৎ সেখানকার রোগীদের স্থানান্তর করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলসহ রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতালে। সাধারণ মানুষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এড়ানো গেছে হতাহতের ঘটনা।


 রোগীদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ক্ষিপ্র গতিতে বের হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশিরভাগ রোগীকে পাঠানো হয় আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে। একইসঙ্গে সেখানকার আইসিউতে থাকা ১০ রোগীকেও ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় কিছু রোগীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায় হাসপাতালের বাইরের খোলা মাঠে। চিকিৎসা নিতে এসে অগ্নিকাণ্ডের পর বিপাকে পড়েন তারা। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দুর্ভোগ থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পান রোগী ও তাদের স্বজনরা।

ঘটনার পরপরই কয়েকদফায় সোহরাওয়ার্দী থেকে রোগীদের বিনা খরচে এম্বুলেন্সে করে আনা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সহযোগিতা করেন কর্তব্যরত পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ নিরাপত্তা কর্মীরা।

এদিকে, বাড়তি রোগী সামাল দিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে তৎপর ছিলেন ডাক্তার ও নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবাই।

ঢামেকের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যারা যে রোগে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সে রোগের চিকিৎসাই এখানে তাদের দেয়া হবে। আমরা তাদের হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা করেছি।

জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে দায়িত্বের বাইরে থাকা চিকিৎসকরাও ছুটে আসেন হাসপাতালগুলোতে। ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক জানিয়েছেন পুরো পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সব ধরণের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।




যে সমস্ত মুমূর্ষু রোগী যাদের আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন তাদের আমরা ম্যানেজ করেছি। এছাড়া যেখানে যে রকমের সুযোগ দরকার সব দিয়েছি আমরা।

এদিকে, বিভিন্ন হাসপাতালে অতিরিক্ত প্রায় ১২০০ রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।