সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড ও নোট বই পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার স্কুলগুলোতে। শিক্ষাবিদদের মতে, শ্রেণিকক্ষে সঠিকভাবে পাঠদান করা হলে নোট ও গাইড বইয়ের প্রয়োজন হতো না।
তবে এর সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সাতক্ষীরার স্কুলগুলোতে বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড ও নোট বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিশেষ সুবিধা দিয়ে শিক্ষকদের ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের কাছে এসব বই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন শিক্ষকরা।
শ্রেণিকক্ষে সঠিক পাঠদানের অভাবে শিক্ষার্থীরা নোট বা গাইড বই পড়ছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সুশীল সমাজের।
সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ দিলারা বেগম বলেন, 'প্রশাসনিকভাবে নোট ও গাইড বই বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় হলে এর থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখা সম্ভব।
জেলা নাগরিক কমিটি সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ অনেকেই এইসব গাইডের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিক্রিতে সহায়তা করছে।'
অবশ্য জেলা প্রশাসক বলছেন, অনুমোদনহীন গাইড ও নোট বই বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, 'সরকারের যে নীতিমালা রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে নিয়ে এসব বই ও গাইড বন্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
সাতক্ষীরায় প্রায় দুই হাজার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী নোট ও গাইড বই পড়ছে।
No comments: