ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর সীমান্তে নিরীহ মানুষকে চোরাকারবারে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, যখন-তখন কৃষকের ঘর থেকে গরু তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাড়িয়ে আনতে হয় টাকা দিয়ে। তবে ফোনে ৫০ বিজিবির পরিচালক জানান, এই চোরাকারবারের পেছনে দূর থেকে কলকাঠি নাড়ে সুবিধাভোগী কতিপয় রাজনৈতিক নেতা।
হরিপুরের বহরমপুর সীমান্তের গ্রামগুলোতে বসবাসকারী মানুষের অভিযোগ, বিজিবি'র অসাধু একটি অংশের ছত্রছায়ায় হরিপুর সীমান্তে হচ্ছে চোরাচালান। স্থানীয় ভাষায় ‘লাইন খাওয়া’র মাধ্যমে বিজিবি গরু ছাড়াও নিষিদ্ধ ফেনসিডিল-ইয়াবা, শাড়ি-কাপড়, জিরাসহ চোরাচালানের বিভিন্ন পণ্য ছেড়ে দেয়।
এলাকাবাসীরা জানান, বিজিবি টাকা খেয়ে চোরাচালানে সহযোগিতা করে, কোন দিক দিয়ে গরু আসে তারা সব জানে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, যখন-তখন হানা দিয়ে কৃষকের ঘর থেকে গরু তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। টাকা দিয়ে কেউ কেউ গরু ফেরত পেলেও ফিরে পান না বেশিরভাগ গরীব কৃষক।
কৃষকরা জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজিবি গরু ধরে নিয়ে যায়, টাকা দিলে গরু ছেঁড়ে দেয়।
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে চোরাচালান হয় স্বীকার করে এ থেকে কতিপয় রাজনৈতিক নেতার সুবিধা নেয়ার কথা জানান ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। তিনি বলেন, চোরাচালানকারীদের সাথে কিছু নেতা কাছের মানুষও আছে। যারা সরাসরি বর্ডারে যায় না কিন্তু চোরাচালানের সাথে জড়িত।
গত এক মাসে সীমান্তের ওই পাড়ে ৩ আর এই পাড়ে তিন সব মিলিয়ে এক মাসে প্রাণ হারালেন ছয়জন সীমান্ত গ্রামের মানুষ।
No comments: