Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ‘বরকতের রক্ত’ ঝরা মাসে চিরবিদায়ে কবি আল মাহমুদ






চিরবিদায় নিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ও শক্তিমান কবি আল মাহমুদ। গতরাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান 'সোনালী কাবিন'-এর কবি। ৮২ বছর বয়সী এ কবি দীর্ঘদিন ধরেই নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।


 কবি আল মাহমুদ সাহিত্য সাধনায় নিজেকে নিবেদিত করেন পঞ্চাশের দশকে, শুরুটা সংবাদপত্রে লেখালেখির মাধ্যমে। এরপর অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বহুমাত্রিক সৃজনশীলতায় আধুনিক বাংলা সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন দু হাত ভরে।

দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন নানা রোগে। আর শুক্রবার রাতে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম এই কবি। নিউমোনিয়াসহ শারীরিক নানা জটিলতার কারণে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ডিমেনশিয়া ও নিউরোলোজিক্যাল সমস্যা ছিলো। দেখা দিয়েছিলো হার্টের সমস্যাও।

কবির মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন স্বজন, ভক্ত-অনুরাগীরা। সৃষ্টি হয় আবেগঘন এক পরিবেশের।

কবির কন্যা বলেন, ‘আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, কলমের সাহায্যে তিনি লড়াই করেছেন। আমরা সব সময় দেখেছি বাবা কখনো কোনো সুবিধা নিতে চান নি।’ 



স্বজনদের একজন জানান, সকাল ১১টার দিকে কবির মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। জোহরের নামাজের পরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহে।

গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ কিংবা শিশুতোষ রচনা--সাহিত্যের সব শাখাতেই সমান বিচরণ ছিলো কিংবদন্তী আল মাহমুদের। লেখালেখিতে উপজীব্য করেন চিরায়ত বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ আবহ, লোকায়ত জীবন আর সাম্যবাদকে। আর তাই নিজ সৃষ্টিশীলতার কারণেই বাংলার সাহিত্য আকাশে উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন আল মাহমুদ, এমনটাই মনে করেন সবাই।

১৯৩৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেয়া এ কবি দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সঙ্গেও। সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply