অহরহ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বিএসএফ’-এর হাতে প্রাণ দিতে হয় বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রামের মানুষদের। এবার নিজ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সদস্যদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মরে সীমান্তে জন্ম নেয়াই অপরাধ- এ কথাটি প্রতিষ্ঠিত করে গেলো দেশের উত্তরের ঠাকুরগাঁওয়ের তাজা তিনটি প্রাণ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম সময় নিউজকে বলেন, এ ঘটনা যখন ঘটে তখন আমি ঢাকায়। এই ঘটনার কথা শুনেই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ করি। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গেই ছিলেন। তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের উপযুক্ত শাস্তিও দেয়া হবে। এছাড়াও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ তাদের পরিবারে লোক সংখ্যা ধরে চাকরির ব্যবস্থাও যেন করা হয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলবো। আমি এই তিনটি পরিবারের পক্ষ থেকে কম পক্ষে তিনজনের চাকরির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো।
এসময় তিনি আরো বলেন, 'যারা অতি উৎসাহী হয়ে গ্রামবাসীর ওপর যে অত্যাচার ও হামলা করা হয়েছে, আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করছি। আমি প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে আমি যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার, সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। এর ন্যায্য বিচার হবে।
বিজিবি কর্মকর্তাদের এমন উদ্ধত আচরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তো মগের মুল্লুকের দেশ পাইনি। মুক্তিযুদ্ধ করে এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আর আমিও একজন মুক্তিযুদ্ধ ছিলাম। কিন্তু এখন আর যুদ্ধ যাওয়ার বয়স তো নেই। তবে এখনকার প্রজন্ম আন্দোলন করে যুদ্ধের সুফলগুলো কায়েম করার চেষ্টা করছে।
ঠাকুরগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা বললেন এমপি দবিরুল ইসলাম
Tag: others
No comments: