শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কবি আল মাহমুদকে শেষ বিদায় জানালেন ভক্ত-অনুরাগী ও গুণগ্রাহীরা। কবির বিদায়ে শোকের ছায়া নেমে আসে শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনে। তাঁর চলে যাওয়ায় সাহিত্যাঙ্গণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা সহসাই পূরণ হবার নয় বলে মন্তব্য করলেন বিশিষ্টজনেরা। ঢাকায় জানাজা শেষে কবির মরদেহ ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাল সেখানে দাফনের কথা রয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তাঁর মহাপ্রয়াণে রাজধানীর মগবাজারের বাসায় সমবেত হন স্বজন ও কাছের মানুষেরা। প্রিয় মানুষের চলে যাওয়ার বেদনার দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
বাসা থেকে প্রথমে কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে কবি-সাহিত্যিক, ভক্ত-অনুরাগী ও একাডেমির কর্মকর্তারা কবিকে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রথম জানাজায় অংশ নেন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতিচারণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, আমরা বিশ্বাস করবো যে ওনার মতো কবি সাধারণত সব দেশে সব সময় জন্ম নেয় না। প্রতিটি ধারাতেই ওনার উপস্থিতি আমরা দেখেছি। এবং আমরা অবিভূত হয়েছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি।
পরে কবিকে নেয়া হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদে। বাদ জোহর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবির গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করা হবে তাঁকে।
কবি আল মাহমুদের ছেলে মীর মাহমুদ আরিফ বলেন, পুরো পরিবার নিয়ে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলো যাবো। ওখানেই আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করবো।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে কবি আল মাহমুদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
No comments: