সিরিজ বাঁচাতে হলে আজকের ম্যাচে জিততেই হবে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২২৭ এর বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ২২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গাপটিল ও নিকোলস উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৪ ওভারে ৪৫ রান তোলেন।
বোলার পরিবর্তন করে কোনভাবেই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না মাশরাফি। দলের ৬ষ্ঠ ওভারে মিরাজকে আনলে গাপটিল দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। পরের ওভারে মাশরাফি বাধ্য হনে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকে আনতে। আর এখানেই তিনি সফল। ফিজ নিজের প্রথম ওভারের চার নম্বর বলে নিকোলসকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান। ক্রিজে গাপটিল ৫০ ও উইলিয়ামসন ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে টস হেরে বৃষ্টিস্নাত সকালে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিউই বোলারদের পেসে কিছুতেই পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। দলের অর্ধশত পূরণের আগেই প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
শুরুর এ ধাক্কা সামলে উঠতে সময় লেগেছে ৩৪ ওভার পর্যন্ত। হেগলি ওভালে যেখানে তিনশ’র বেশি রান করাও সম্ভব, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নাজেহাল হয়েছে কিউই পেসারদের কাছে।
২০ ওভার ৫ বলে দলীয় ৯৩ রানেই নেই ৫ উইকেট। এখান থেকেই সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা শুরু করেন নেপিয়ারে ৬২ রান করা মোহাম্মদ মিঠুন।
গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তুলে নেন অর্ধশতক। ৬৯ বলে সাতটি চার আর এক ছয়ে করেন ৫৭ রান।
মিঠুনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাব্বির রহমান। মাঝে মেহেদী মিরাজ করেন ২০ বলে ১৬ রান।
সাব্বির খেলছিলেন ঠিকঠাক। মিঠুনের পর সাব্বিরও যখন অর্ধশতকের কাছে তখনই বাঁধান বিপত্তি। ফার্গুসনের স্লোয়ার বলে জিমি নেশামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬৫ বলে ৪৩ রান করে।
শেষদিকে সাইফউদ্দিনের ১০, মাশরাফি মুর্তজার ১৩ আর মুস্তাফিজুর রহমানের ৫ রানে ভর করে ৪৯.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে উইকেটে ২২৬ রান পর্যন্ত তুলতে পারে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। ২ উইকেট করে নেন টড এস্টলে ও জিমি নেশাম। ১টি করে উইকেট নেন হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, গ্র্যান্ডহোম।
No comments: