মেলায় পঞ্চম শিশু প্রহরের দিনে শিশুদের কলরবে মুখর ছিল শিশু চত্বর। পাশাপাশি কৈশোর তারুণ্যের চতুর্থ আয়োজনে কৈশোর তারুণ্যের কর্নারে আজ শিশুদের জন্য লোক সংস্কৃতি গবেষক ড. আশরাফ সিদ্দিকীর শিশুতোষ রচনা পাঠ করা হয় ।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বাবার কোলে চড়ে ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিরা জড়ো হয় বই মেলার শিশু চত্বরে। শিশুদের কলরবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে শিশু প্রহরে সিসিমপুরের মঞ্চ।
রঙিন করে সাজানো চত্বরে শিশুরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে নানা রকম বই নিয়ে। কারো হাতে ছড়া বই, কারো বা পছন্দের কমিক্স কেউবা আবার কিনছে রূপকথার বই।
তবে শিশু চত্বর নিয়ে খানিকটা অভিযোগের সুর ছিল ছোট্ট শিশু পাঠকদের কণ্ঠে।
শিশুরা বলে, শিশু চত্বরটা অনেক ছোট, কিন্তু বই মেলাটা বড়। আরো বড় করতে হবে, আমাদের নাচানাচি করার জায়গাটা অনেক ছোট।
লেখকরা বলছেন কেবল কার্টুন আর রঙিন প্রচ্ছদেই নয় শিশুদের জন্য প্রয়োজন বাস্তবধর্মী বইয়েরও।
লেখকরা বলেন, বইগুলোর ভিতরে বাস্তবতাগুলো আরো বড় করতে আনতে হবে। স্কুল থেকে শুরু করে দেশের গান, কবিতা বইয়ে তুলে আনতে হবে।
শিশুর বেড়ে উঠা বইয়ের মধ্য দিয়ে হওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে বাচ্চাদের মত করে বই লিখতে হবে।
এদিকে কৈশোর তারুণ্য বই এর চতুর্থ আয়োজনে শিশুদের জন্য লোক সংস্কৃতি ড. আশরাফ সিদ্দিকীর শিশুতোষ রচনা পাঠ করে শুনান তার মেয়ে ড. তাসনিম সিদ্দিকী। এবারে বই মেলায় দেশীয় লেখকদের বই বেশি প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন শিশুদের সংস্কৃতি বিকাশে প্রয়োজন বলে মনে করছেন মেলায় ঘুরতে আসা অভিভাবকরা।
No comments: