আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদ। সিলেটের তিন পেসার যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে। টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তারা। একই অঞ্চলের তিন পেসারের এবার লড়াই হবে সেরা একাদশে জায়গা করে নেয়ার। তবে বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা। নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটের সুযোগ কাজে লাগাতে চান তিন পেসার। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দলকে এনে দিতে চান সাফল্য।
জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন তরুণ তুর্কি। রাহী-ইবাদত-খালেদদের আরো একটি সম্পর্ক আছে। তিনজনই সিলেট অঞ্চলের। সে হিসেবেই একসঙ্গে পথচলা, একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা।
তিনজন এবার উড়ালও দিচ্ছেন একসঙ্গে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলে আছেন তিন পেসারই। তবে জাতীয় দলের সাদা জার্সিতে হয়তো একসঙ্গে নামা হচ্ছে না। দলে জায়গা পেতে এবার লড়তে হবে তিন জনকে। বিষয়টিকে বেশ উপভোগ্যই মনে হচ্ছে তাদের কাছে।
ইবাদত হোসেন বলেন, 'আমার পজিটিভ কম্পিটিশন থাকে সবসময়। ন্যাশনাল লিগ, বিসিএল অথবা যাই খেলি আমরা চিন্তা করি তিনজনই যেনো টিমের জন্য কিছু করতে পারি।'
আবু জায়েদ রাহী বলেন, 'আমি চিন্তা করি যে, ও যদি একটা সেট ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারে তাহলে আমার সুযোগ বাড়বে। আমি একটা নতুন ব্যাটসম্যানকে বল করতে পারবো। নতুন ব্যাটসম্যান এসেই কিন্তু সেট হতে পারে না। তখন একটা সুযোগ তৈরি হয় উইকেট পাওয়ার।'
আর খালেদ আহমেদ বলেন, 'কয়েক বছর ধরে আমরা একসাথে খেলছি। সিলেটের হয়ে একই টিমে খেলছি। এখানে প্রতিযোগিতা থাকবেই, কে কার থেকে ভালো করে। সবার চেষ্টা থাকবে নিজের সেরাটা দিয়ে ভালো করার।'
জাতীয় দলের হয়ে ৩ টেস্ট খেলা রাহী আর ১ ম্যাচ খেলা খালেদের এবারই প্রথম নিউজিল্যান্ড যাত্রা। আর ইবাদত এর আগেও গিয়েছেন ব্ল্যাক ক্যাপদের দেশে, তবে খেলা হয়নি কোন ম্যাচ। তিন তরুণের স্বপ্নযাত্রা তাই এবার। কিউইদের পেসবান্ধব উইকেটের সুযোগ নিতে মুখিয়ে তিন জনই, সঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে খেলার চ্যালেঞ্জও।
ইবাদত হোসেন বলেন, 'যেহেতু ওখানকার উইকেট পেস বোলারদের জন্য ভালো তাই আমার যদি সেখানে অভিষেক হয় তাহলে খুব ভালো হবে।'
তিন পেসারের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড গেছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
No comments: