Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় যৌথ উদ্যোগে একমত রাশিয়া-তুরস্ক-ইরান







সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে একমত হয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সোচিতে তিন জাতি সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন সেনা প্রত্যাহার জরুরি। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে সেনা প্রত্যাহার চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। আর ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, সিরিয়ায় বিদেশি সেনার উপস্থিতি আঞ্চলিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।



এক সময় সিরিয়া ও ইরাকে নৃশংসতার রাজত্ব কায়েম করলেও বর্তমানে সিরিয়ার দেইর আল জোর প্রদেশের বাগহৌজ গ্রামে অনেকটাই কোণঠাসা জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। গেলো শনিবার থেকে পশ্চিমা সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস- এসডিএফের অভিযানে আইএসের অন্তত ২০০ সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সোচিতে সিরিয়া বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেন আসাদ সরকারের মিত্র রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং সিরিয়ায় বিরোধীদের সহায়তাকারী তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। বৈঠকে জাতিসংঘ প্রস্তাবনা অনুযায়ী রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সিরিয়া পুনর্গঠনে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে একমত হন তারা।

পরে, সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার জরুরি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কোনো তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টায় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তার পক্ষে নির্দেশ বাস্তবায়ন কঠিন হবে। ই দলিবসহ সিরিয়ার যেখানেই সন্ত্রাসী, বিদ্রোহী এবং জঙ্গি গোষ্ঠী আছে তাদের নির্মূলে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে তুরস্ক ও ইরানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন দেশর তৈরি অস্থিরতার মধ্যেই ইদলিবে শান্তি রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে তুর্কি বাহিনী। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়ে তুরস্ক, রাশিয়া এবং ইরানকে আরো সংঘটিত থাকতে হবে। তবে মার্কিন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত না হওয়াটা হতাশাজনক।




সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক সঙ্কটের জন্য সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতিকে দায়ী করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দেশটিতে যখন তখন হামলা চালাচ্ছে ইসারইল। অথচ দুঃখজনক-ভাবে জাতিসংঘসহ সারাবিশ্ব এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে একদম চুপ। এ নীরবতার অর্থ হচ্ছে- তারা সিরিয়া এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা চায় না।

ইদলিবে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলছে উল্লেখ করে বিদ্রোহীদের সেখান থেকে উৎখাত কোরে সিরীয় সরকারের কাছে তাদের ভূমি হস্তান্তরের আহ্বান জানান ইরানি প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে সিরীয় সঙ্কট সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় জাতিসংঘের সমালোচনা করেন রুহানি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply