কোনো সুফল মিলবে না জেনেও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আইনজীবী ও নেতারা। ভবিষ্যতের জন্য দালিলিক প্রমাণ রাখতেই এই আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা। ক্ষমতাসীন দলপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, মামলা করার অধিকার রয়েছে বিরোধীদের। বিষয়টিকে বিএনপি'র রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন তারা।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও শোচনীয় পরাজয় হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। নির্বাচনের পর গত ১৩ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। ওই বৈঠকেই অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনী আদালতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এরপর নানাবিধ কারণে মামলা করা না করা নিয়ে দো'টানায় পড়েন প্রার্থীরা। শেষমেশ বুধবার থেকে শুরু বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী বেঞ্চে মামলা করা।
বাস্তবতা বিবেচনায় এই মামলাগুলোর বিচারিক ফয়সালার চেয়ে আদালতে দালিলিক প্রমাণ রাখার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, পাবলিকলি একটা কথা আছে যে, আইন আদালতে কী হবে? এ কথাটা যেমন আছে তেমন ভবিষ্যতে প্রমাণের জন্য মামলাটা জরুরি হয়ে গেছে।'
অতীতে দায়ের হওয়া এমন মামলার উদাহরণ টেনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীও বললেন, এসব মামলায় সুফল পাওয়া দুষ্কর।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, 'সাধারণত আমরা অতীতে দেখেছি, কোন একটা মামলা নিষ্পত্তি করতে করতে প্রায় ৪-৫ বছর লেগে যায়। আদালত যদি তাদের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করে পরে আপিলে গিয়ে একটা স্থগিতাদেশ করে ফেলে। এভাবেই চলতে থাকে।
তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের বিএনপি'র রাজনৈতিক কৌশল।
তার মতে, 'এরকম করে মামলা করে কেউ সুফল পেয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তাই এরা সেরকম কোনো সুফল করতে পারবে না। তবে এতে করে একতা রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে পারবে।
ক্ষমতাসীনরা বলছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতায় রাজনীতির মাঠে সুবিধা করতে না পেরে নির্বাচন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে সুফল মিলবে না: বলছে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতারাই
Tag: others
No comments: