শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠতে সময় লেগেছে ৩৪ ওভার পর্যন্ত। হেগলি ওভালে যেখানে তিনশ’র বেশি রান করাও সম্ভব, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নাজেহাল হয়েছে কিউই পেসারদের কাছে।
সহজ সমীকরণ, সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। এক্ষেত্রে যা যা করতে হবে সেটা মাথায় রেখেই নিশ্চয় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল।
ম্যাচ শুরুর আগে টানা দুই ঘণ্টার বৃষ্টি, সঙ্গে আছে কনকনে শীত। বলাই যায়, ব্যাপারটা বাংলাদেশের জন্য সহজ নয়। তাই টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণই ছিল সফরকারীদের জন্য। আগে ফিল্ডিং করলে অন্তত উইকেটের সুবিধাটা নিতে পারতো টাইগার বোলাররা।
ভাগ্য খারাপ তাই টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
কিউই পেসারদের গতির ঝড় টাইগার ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে। হেগলি ওভাল তো আরও ভয়ানক!
ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, কিউই পেসারদের গতির সামনে থিতু হওয়া এতটা সহজ না।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ট্রেন্ট বোল্টকে হাওয়ায় ভাসিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন দাস। মাত্র ৪ বল খেলে বিদায় নেন ১ রান করে।
এরপর ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে হেনরির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। ২৮ বল খেলে তামিম করেন মাত্র ৫ রান।
দুই নম্বরে ব্যাট করতে আসা সৌম্য সরকার আশা জাগিয়ে করেছেন হতাশ। ২৩ বলে ২২ রান করে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানও।
নিজের ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমে স্লিপে রস টেইলরের হাতে নতুন জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ৩৬ বলে ২৪ রান করে বোল্ড হয়েছেন লকি ফার্গুসনের বলে।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। টড এস্টলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ বলে ৭ রান করে।
২০ ওভার ৫ বলে দলীয় ৯৩ রানেই নেই ৫ উইকেট। এখান থেকেই সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা শুরু করেন নেপিয়ারে ৬২ রান করা মোহাম্মদ মিঠুন।
গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তুলে নেন অর্ধশতক। ৬৯ বলে সাতটি চার আর এক ছয়ে করেন ৫৭ রান।
মিঠুনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাব্বির রহমান। মাঝে মেহেদী মিরাজ করেন ২০ বলে ১৬ রান।
No comments: