নানা সমস্যায় সুন্দরবনে অনাগ্রহ পর্যটকদের

নানা সমস্যায় সুন্দরবনে অনাগ্রহ পর্যটকদের পর্যটন ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না সুন্দরবন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী আসছে না এ বনে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে আরও বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে সম্ভাবনাময় এ খাতটি বিকাশিত হবে না। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের আয়তনে ৬ হাজার ৬৬৬ বর্গকিলোমিটার। বিশাল এ বনে রয়েছে নানামুখী জীববৈচিত্র্য। এসব কারণে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য সব সময়ই আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। কিন্তু সম্ভাবনাময় এ বনটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে নানামুখী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় পর্যটকদের। সেই সাথে নিরাপদ ভ্রমণে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। সে কারণে দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুব বেশি বাড়ছে না। সুন্দরবনকেন্দ্রীক পর্যটন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি খুলনাঞ্চলের সাধারণ মানুষের। পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, দোকানপাট, থাকার জায়গা তৈরির দাবি তাদের। তবে পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন সুন্দরবনকেন্দ্রীক পর্যটন ব্যবসা প্রসারিত করতে বনবিভাগ নয়, পর্যটন কর্পোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। রূপান্তর ইকো ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নাজমুল আজম জানান, মানুষকে সেবা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে হলে যেসব বিষয় মাথায় রাখা দরকার বনবিভাগের সেরকম কোনো ডিপার্টমেন্ট বা সেল নাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের পর্যটন খাতকে বিকাশিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্টি এন্ড উড টেকনোলজির অধ্যাপক নাজমুস সাদাত জানান, হোটেল-মোটেলগুলোতে সার্ভিস থাকুক বা না থাকুক তাতে যে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এমন কোনো নিয়ম নাই। সেক্ষেত্রে সরকার নিজে না করে, পার্টনারশিপে এটা করতে পারেন, তাতে একদিকে টুরিস্টরা সেবা পাবেন, অন্যদিকে ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিটাও লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি। বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের পূর্ব-পশ্চিম বিভাগ মিলিয়ে ১ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবছর সুন্দরবন ভ্রমণ করে।