নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ ধর্ষণের নির্দেশদাতা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমিনসহ আরো দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট ৫জনকে গ্রেফতার করা হলো।
বুধবার (০২ জানুয়ারি) রাতে সোনাগাজির খাজুরিয়া ও সদরের উত্তর ওয়াফদা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে বুধবার (০২ জানুয়ারি) প্রধান অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কুমিল্লার বরুরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, পূর্ব বিরোধের জেরে গত রোববার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকায় বাড়িতে এসে হামলা ও ভাংচুর চালায় একই এলাকার সোহেল, মোশারফ, সালাউদ্দিন ও তাদের সহযোগিরা।
এ সময় বাধা দিলে গৃহবধূর স্বামী ও তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী, স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ও ছেলেকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে সুবর্ণচর থানায় মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, 'যাতে কোন আলামত নষ্ট না হয় সেজন্য আমরা দ্রুততার সহিত ভর্তি করে প্রাথমিক পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করেছি। বাকি পরীক্ষাগুলোও আমরা দ্রুততার সঙ্গে করবো।'
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, 'ভুক্তভোগীর স্বামী এজাহারে বলেছেন, এই নয় জন পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। রাজনৈতিক রঙ দেয়ার যে চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা কিন্তু সে এজাহারে বলেনি।'
No comments: