মানুষের চাঁদে যাওয়া এখন নতুন কিছু নয়। ১৯৬৯ সালে প্রথম চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিল আর্মস্ট্রং। তারপর অনেকে চাঁদে গিয়েছেন। এসব অভিযানে গিয়ে মানুষ চাঁদের বুকে নিজেদের আগমনের প্রমাণস্বরুপ নানা জিনিসপত্র ফেলে এসেছেন। কেউ কেউ আবার পায়ের ছাপ দিয়ে এসেছেন।
১. পায়ের ছাপ: চীনের ‘চেঞ্জ-৪’ সম্প্রতি চাঁদে ভ্রমণ করেছে বলে দাবি করেছে। এজন্য ‘চেঞ্জ-৪’-এ থাকা চীনের বিজ্ঞানীরা চাঁদের মাটিতে পায়ের ছাপ রেখে এসেছে। তারা চাঁদের মাটিতে পায়ের ছাপের ছবিও প্রকাশ করেছে।
২. যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা: ১৯৬৯ সালে নিল আর্মস্ট্রং যখন চাঁদে গিয়েছিলেন তখন তিনি চাঁদের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। সেখানে তিনি ওই পতাকা উড়িয়ে রেখে আসেন।
৩. ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাপোলো-১১’ যখন চাঁদে যায় তখন চাঁদে একটি ‘মুন বগি’ (গাড়ি) রেখে আসে। মুন বগির সঙ্গে বিভিন্ন গবেষণাযন্ত্র সংযুক্ত করে দেয়া হয়।
৪. পরবর্তীতে ‘অ্যাপোলো-১৪’ যখন চন্দ্র অভিযান করে তখন এই অভিযানে ছিলেন অ্যালেন শেফার্ড ও ইগার মিখাইল। তারা একটি গল্ফ বল নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই বলটি তারা চাঁদের মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেন এবং রেখে আসেন।
৫. ১৯৭১ সালে চাঁদে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে চন্দ্রযান ‘অ্যাপোলো-১৫’। তখন ওই চন্দ্রযানে যারা ছিলেন তারা ফিরে আসার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ও রাশিয়ার ১৪ জন বিজ্ঞানীর নাম লেখা একটি প্লাকার্ড রেখে আসেন। ওই ১৪ জন বিভিন্ন সময় চন্দ্রাভিযানে মারা গেছেন।
৬. ১৯৭২ সালে চাঁদে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী কার্লেস মস ডিউক। তিনি ‘অ্যাপোলো-১৬’তে ভ্রমন করেছিলেন। তিনি ফিরে আসার সময় পরিবারের একটি ছবি চাঁদের মাটিতে রেখে এসেছিলেন।
৭. যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা চাঁদের মাটিতে একটি শক্তিশালী ক্যামেরাও রেখে এসেছিলেন। যেটি ছিল ১২ হ্যাসেলবেল্ট ক্যামেরা। ২০১৪ সালে ওই ক্যামেরাটি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয় এবং নিলামে সেটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার ডলারে (প্রায় ৭ কোটি টাকা) বিক্রি হয়।
No comments: