চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত একটার দিকে উপজেলার মোক্তারপুরের নলডাঙ্গা মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল বারেক ওরফে বারী হক (৪০)। তিনি উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার মিশনপাড়ার মৃত আব্দুল গণির ছেলে।
এই ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার ওসিসহ (তদন্ত) চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
তারা হলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) গাজী শামীম রহমান, এসআই রাজিব আল রশীদ, এসআই শামসুল হক ও এসআই রাম প্রসাদ। আহতদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে এক বস্তা ফেনসিডিল, একটি পাইপ গান, দুই রাউন্ড কার্টুজ ও দুটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান দেশের অভ্যন্তরে আনা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মোক্তারপুরের নলডাঙ্গা মাঠে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক পাচারকারীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ বারী নামের ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস আরটিভি অনলাইনকে জানান, নিহত বারী হক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় ১৫টি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। নিহতের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
No comments: