আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে। নদীপথে চাঁদাবাজি ও হয়রানিসহ নানা অনিয়মে পুরোপুরি বিকশিত হয়নি বন্দর কেন্দ্রিক অর্থনীতি। অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ দ্রুত নদীপথের অনিয়ম রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
বাণিজ্যিক শহর নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা নদীবন্দরের সাথে চট্টগ্রাম, মংলা, ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন নৌপথের সংযোগ রয়েছে। সুযোগ রয়েছে কম খরচে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের। তবে নাব্য সঙ্কট, নৌপথের নানা অনিয়ম ও বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে দিন দিন হারাতে বসেছে নদীবন্দরের জৌলুস। কমতে শুরু করেছে নদীপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানের সংখ্যা। এতে পিছিয়ে পড়ছে বন্দর কেন্দ্রিক অর্থনীতি। নদীবন্দরের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বন্দর শ্রমিকরা জানান, দুই পাশে ফ্যাক্টরি হয়ে জায়গা ছোট হয়ে গেছে। নদীতে গভীরতা কমে গেছে। সেই সাথে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই বাল্কহেড চলে এতে দুর্ঘটনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ অবস্থায় নদী-দখল, শিল্প ও কলকারখানার দূষণ এবং নাব্য সংকট সমাধানসহ নদীপথের বিভিন্ন পয়েন্টে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
নারায়ণগঞ্জের বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সরদার আলমগীর মাস্টার বলেন, নাব্যতা ফিরে আনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে যারা নদী দখল করে রেখেছেন তাদেরকে উৎখাত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, দুর-পাল্লার যাতায়েতে যে পথ তা সুগম করতে হবে। এবং এই জিনিসগুলো দেশের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।
সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নারায়ণগঞ্জে আধুনিক মানের নদীবন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. গুলজার আলী। তিনি বলেন, নদী দখল নিরসনের জন্য ওয়াক ওয়ে নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছি, তার প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে টার্মিনাল আধুনিকায়নের কাজও নেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরকে কেন্দ্র করে জেলার ৫টি নদীতে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চ, ট্রলার, তেলের ট্যাঙ্কার, পণ্যবাহী জাহাজ ও বালুবাহী কার্গোসহ প্রতিদিন সহস্রাধিক নৌযান চলাচল করে।
No comments: