ময়মনসিংহে ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকের। আর মিলাররা লোকসানের অজুহাত দিচ্ছেন। মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা কৃষক। এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
ময়মনসিংহে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দিশেহারা কৃষক। বর্তমানে বাজারে মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ' থেকে ৭শ' টাকা আর চিকন ৮শ টাকা মণ দরে। সরকারিভাবে চাল কেনা শুরু হলেও বাজারে বাড়েনি ধানের দাম। কৃষকেরা বলছেন, সার, কীটনাশক ও মজুরির অনুপাতে বর্তমান বাজার দরে লাভ হচ্ছেনা।
তারা জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের দাম যা আছে তা খুব কম, ৬’শ থেকে ৯’শ টাকা বাড়ানো দরকার। একমণ ধান মারাতে ৬’শ টাকা লাগে সেই একমণ ধান বিক্রি করি ৬’শ টাকা।
এদিকে মিলাররা বলছেন, কৃষকরা যেমন দাম পাচ্ছেন না তেমনি খাদ্য কর্মকর্তাদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে তারাও লাভবান হতে পারছেন না।
কৃষক নেতারা বলছেন, মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে ধানের ন্যায্য মূল্য পায়না কৃষকরা।
ময়মনসিংহ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, যদি ধান ক্রয় কেন্দ্র প্রত্যেক ইউনিয়নে স্থাপন করা হয় এবং কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হয়। এবং মিলারদেরকে বলা হয় আপনারা এই নির্ধারিত দামে ধান কিনবেন। তাহলে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
অবশ্য শীর্ষ কৃষি কর্মকর্তার দাবি,সরকার চাল কেনায় প্রভাব পড়েছে ধানের বাজারে।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগে যে উৎপাদন হয়েছে তা প্রায় ৬’শ ৬৮কোটি টাকার সমান। তাই কৃষকরা দাম একটু কম পেলেও পুষিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা চাচ্ছি কৃষকরা যেন সরকার ঘোষিত দামটা পেতে পারে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস জানায়, জেলায় চুক্তিবদ্ধ প্রায় ৭শ' ডিলারের মাধ্যমে ৩৬ টাকা কেজি দরে ৩৪ হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে।
No comments: