নওগাঁয় কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। গেলো বছর ১ হাজার থেকে ১১শ' টাকা মণ ছিল ধানের দাম, যা এবার ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের নিম্নদরের জন্য ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন কৃষকরা। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কাজ চলছে।
নওগাঁয় প্রায় ৪শ অটো রাইসমিল এবং ১ হাজার হাসকিং মিল রয়েছে । এসব মিল মালিকরা ধান কেনাবেচার জন্য সরকারের কাছ থেকে সহজ শর্তে বিপুল পরিমাণ ঋণ পেয়ে থাকেন। এসব ঋণের টাকায় ব্যবসায়ীরা কম দামে ধান কিনে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকের। গেল বছর নওগাঁর হাটবাজারগুলোতে ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা মণ দরে ধান কেনাবেচা হয়েছিল। আর এবার সর্বোচ্চ ৭৫০ টাকা মণ মন দরে কিনছেন ব্যবসায়ীরা । ধানের এমন দর পতনকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ছোট বড় ১ হাজার চাতাল ও রাইস মিলে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কারবার হয় জেলায় । তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট নয় বরং ভারত থেকে চাল আসায় ধানের বাজার এবার কিছুটা কম।
ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা না হলে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে বলে মনে করেন নওগাঁ মহাদেবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আব্দুস সাত্তার নাননু।
বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানালেন প্রশাসনের শীর্ষ এ কর্মকর্তা । আর খাদ্য কর্মকর্তা বললেন, চাল কেনা শুরুর পর ধানের কিছুটা বেড়েছে।
জেলা মিল মালিক সমিতির তথ্য মতে, ৩২টি বেসরকারি ও ৫টি সরকারি ব্যাংক থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নিয়ে ৩শ ৭৫টি অটো এবং ৭শ হাসকিং মিল পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা।
No comments: