দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি, সমাজের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হবে সুশাসন, নতুন সরকারের কাছে এমন প্রত্যাশা সব শ্রেণি পেশার মানুষের। এমনকি অর্থনীতির চলমান গতি ধরে রাখার স্বার্থেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতেরও আহ্বান তাদের। যদিও, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোই হবে নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
চায়ের কাপে ঝড় থেমেছে, নির্বাচনী রাজনীতির উত্তাপও শেষ। শীতের বিকেলে একদমই শান্ত রাজধানীর প্রায় সবখানেই আলোচনায় আগামীর বাংলাদেশ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণেই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশাও অনেক।
সাধারণ মানুষ বলেন, 'আওয়ামী লীগ আসার কারণে আমাদের উন্নতি হয়েছে। যারা অসহায় তাদের ভাল রাখুক এই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা যেনো সুস্থ ভাবে চলতে পারি। রাস্তাঘাটে যেনো ছিনতাই রাহাজানি না হয়।'
দৃশ্যমান বড় প্রকল্পগুলো পাল্টে দিয়েছে দেশের অর্থনীতির চিত্র, এমনকি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ পেয়েছে অন্যরকম মর্যাদার আসন। এরপরও, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, নতুন উদ্যোক্তার অভাব, কিংবা আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়হীনতায় মাঝে মাঝেই হোঁচট খাচ্ছে এসব অগ্রগতি। যদিও ব্যবসায়ীদের আশা, নতুন সরকারেই হবে এসবের সমাধান।
সাম্পান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো ইমামুল হাসান বলেন, 'যখন একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করবেন তখন কোথায় যাবেন কি করবেন সেটা ঠিক করতে হবে। একটা কারখানা করতে তাকে সাতটা মন্ত্রণালয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা মনে করি এইসব বিষয়ে সরকার দৃষ্টি দিবে।'
তবে যে কোন নীতিকাঠামো তৈরিতে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গতিপ্রকৃতিকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। পাশাপাশি খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে দৃশ্যমান পদক্ষেপও দেখতে চান তারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন্দ নিলোর্মি বলেন, 'খেলাপি ঋণ যেখানে ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আগামী বছর যেন তা সহনীয় পর্যায়ে আনা যায় তা দেখতে হবে। শুধু আমাদেরটা দেখলে চলবে না। চীন বা ভারতের অর্থনৈতিক বিষয় এবং মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ভূ রাজনৈতিক বিষয় আমাদের দেখতে হবে। '
জনমনে প্রত্যাশা, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন সরকারের কেবিনেটে আসুক অপেক্ষাকৃত তরুণ, দুর্নীতিমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের ব্যক্তিরাই।
No comments: