Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ভুল কৌশলে চট্টগ্রামে 'হারার আগেই হেরে গেছে' বিএনপি






চট্টগ্রামে সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থান থাকার পরও লাগামহীন দলীয় কোন্দল, অতিমাত্রায় জামায়াত- শিবির নির্ভরতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপির কৌশলগত ভুলগুলোকে 'হারার আগে হেরে যাওয়া' বলে মন্তব্য করছেন সুশীল সমাজ। সে সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত তরুণ ভোটাররা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতোটা সক্রিয় ছিলেন, ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে তারা ছিলেন ততোটাই নিষ্ক্রিয়।


 এমনিতেই নির্বাচনের আগে নানামুখী চাপে বিপর্যস্ত ছিলো বিএনপি। বিশেষ করে দলে যেমন বিশৃঙ্খলা ছিলো, তেমনি প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকায় কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছে। যে কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপির অনেক নেতাই সেভাবে মাঠে নামেননি। এ অবস্থায় তারা নির্বাচনী মাঠ দখলে নিতে অনেকটা জামায়াত-শিবির নির্ভর হয়ে পড়ে। অবশ্য তার আগে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে'ও বিশেষ সুবিধার আশা করছিলো সংগঠনটির নেতারা।

 প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী (উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, 'দেশে স্বাধীনতার যারা শত্রু ছিল, জঙ্গি মৌলবাদী বলে জামায়াত শিবির বলে তাদের সঙ্গে সখ্যতা এখনো রয়েছে বিএনপির। তাই জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।'

ভোটের প্রচারণার শুরু থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেক বেশি সক্রিয় ছিলো বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অনলাইনে সক্রিয় নেতা-কর্মীরা ছিলো ভোটের মাঠে অনুপস্থিত। এর ফলে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে'ও তাদের প্রার্থীরা আশানুরূপ ভোট পায়নি।

অ্যাডভোকেট আকতার কবীর চৌধুরী (সভাপতি, সনাক, চট্টগ্রাম) বলেন, 'কেন্দ্রে যাওয়ার পরে যদি গ্রেফতার হতো তাহলে আমরা দেখতাম। কিন্তু আগে থেকে ভয়ে মরে যাওয়া ঠিক হয়নি।'

স্থপতি আশিক ইমরান (তরুণ উদ্যেক্তা) বলেন, 'শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার ইচ্ছা ছিলনা বলেই মনে হয়। আমরা পোস্টারও দেখিনি অনেক কেন্দ্রে তাদের এজেন্টও ছিল না।'




চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী চারটি জেলার ২৩ আসনের সবগুলোতেই জিতেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এর মধ্যে বেশক'টি আসনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের জামানত হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply