সদ্য শেষ হওয়া বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে বাংলাদেশে নিত্য খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। এজন্য আলোচ্য মাসটিতে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উভয় খাতে মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী ছিল।
বুধবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ সব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও সেটি হয়নি। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাড়ে ৫ শতাংশের নিচেই রয়েছে মূল্যস্ফীতির হার।
সামনের মাসগুলোতে এই হার আরও কমে আসবে। কেননা আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম কমে এসেছে। চিনির দাম গত ১০ বছরের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বর মাসে চাল, ডাল, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্রাদি, বাড়িভাড়া ও বিদ্যুৎ, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণসহ কিছু খাতে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে।
সার্বিকভাবে দেশে ডিসেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৮ ভাগে যা নভেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ২৯ ভাগ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ ভাগে যা নভেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪৯ ভাগ।
শহর ও গ্রাম অঞ্চলের মূল্যস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডিসেম্বরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ ভাগে যা নভেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ২১ ভাগ। এ সময় শহরাঞ্চলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৭ ভাগে। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৯ ভাগে।
অন্যদিকে ডিসেম্বরে গ্রামীণ অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯১ ভাগে যা নভেম্বরেও একই ছিল। এসময় গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৮ ভাগে। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ ভাগে।
No comments: