অলীক কোন গল্প কিংবা মাঠ গরম করা প্রতিশ্রুতি নয়, নির্বাচনী ইশতেহারে সময়োপযোগী এবং বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনার রূপরেখা দেখতে চান ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ক্ষমতায় না গেলেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে দলগুলোর কী ভূমিকা থাকবে, ইশতেহারে তাও নিশ্চিতের আহ্বান তাদের। যদিও অর্থনীতিবিদদের চাওয়া, ক্ষমতায় গেলে ভোটের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাটাই হোক, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান অঙ্গীকার।
দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ক্ষমতায় গেলে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার দেয়া হবে, ইশতেহারের মাধ্যমে শিগগিরই তা প্রকাশ করবে রাজনৈতিক দলগুলো।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী ইশতেহারকে একটি দলের রাজনৈতিক দর্শন মনে করা হলেও, বাংলাদেশে তা ভোটযুদ্ধে জয়লাভের কৌশলপত্র ছাড়া কিছুই নয়। এতে নির্বাচনী বাঁধা পার হতেই পূর্বঘোষিত ইশতেহারের কথা বেমালুম ভুলে যায় জয়ী কিংবা পরাজিত, দু'পক্ষই। এ অবস্থায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে নির্বাচনী ইশতেহার হোক একটি উন্নত বাংলাদেশের অঙ্গীকার, এমন আশা ব্যবসায়ীদের।
উত্তরা পাট সংস্থা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশে এই কালচারটা চালু হওয়া উচিত। নির্বাচনে ইশতিহারে যদি এটা বলা হয় যে, আমি যদি ক্ষমতায় যেতে নাও পারি তার পরেও ক্ষমতাসীন দল যেই থাকুক না কেন, সরকারের তাকে সাহায্য করা পাশাপাশি প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রতিফলন ঘটতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তরের মুহূর্তেই দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। ক্ষমতায় যে রাজনৈতিক দল বা জোট ই আসুক, তারা মেয়াদ শেষ করবে উন্নয়নশীল দেশের সরকার হিসেবে। ফলে যেকোনো নীতি-গ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে বাংলাদেশকে।
পল্লী কর্ম সহায়ক চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, 'আমি আশা করছি যে, সব দলে ইশতিহারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তাব থাকবে। প্রত্যেককে ন্যায্য অধিকার দিতে হবে।'
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় শেষ এক দশকে ৪ দশমিক ১ শতাংশ হারে বেড়ে আত্মকর্মসংস্থান ও বাণিজ্যিক মিলে দেশে মোট উদ্যোক্তার সংখ্যা এখন তিন কোটি। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে ২০৩০ সালেই যা পৌছাতে হবে সাড়ে ৫ কোটিতে।
No comments: