Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » যে কথা বলে অঝোরে কাঁদলেন অরিত্রীর বাবা




যে কথা বলে অঝোরে কাঁদলেন অরিত্রীর বাবা কোনো কিছুতেই সান্ত্বনা নিতে পারছেন না দিলীপ অধিকারী। মেয়েকে হারিয়ে খাওয়া-দাওয়া, ঘুম নেই তার। অতি আদরের সন্তানের স্মৃতি এ জনমে হয়তো ভুলতে পারবেন না। একজন বাবার কাছে সবচেয়ে বেশি ভারী সন্তানের মরদেহ। আর অরিত্রীর এ অনাকাঙ্ক্ষিত চলে যাওয়ায় বাবা দিলীপ অধিকারীর ভেতরে যে কষ্ট বয়ে যাচেছ, তা হয়তো অন্য কারো বোঝার ক্ষমতা নেই। বৃহস্পতিবার(৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন কষ্টের সাগরে নিমজ্জিত বাবা দিলীপ অধিকারী। তিনি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তার চোখের জল পড়ছিল গাল বেয়ে। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলেন, ‘কখনো আশা করিনি যে মেয়ের মরদেহ এভাবে কাঁধে করে নিতে হবে। আমি জানি এটা কত কষ্টের। আমি তো আর মেয়েকে ফিরে পারো না। আমরা সবাই চাইলেও পারবো না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষকদের আমি বলেছিলাম আমি ব্লাড প্রেসারের রোগী। আমার স্ত্রীর নিউরো সমস্যা আছে। তাই হয়তো মেয়ের যত্ন নিতে পারেনি। এবারের মতো ক্ষমা করে দিন। তারা আমার কোনো কথাই শুনল না। আমাকে স্কুল থেকে বের করে দিল। এই অপমান সইতে না পেরে আমার মেয়েটা আজ নেই।’ দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘বাবা হিসেবে আমি ব্যর্থ যে আমার মেয়েকে সঠিক দিকনিদের্শনা দিতে পারেনি। তা না হলে পরীক্ষার হলে মোবাইল টা নিয়ে গেল কেনো...।’ শিক্ষা সচিব ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশে না করে দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘আমাকে তারা সবাই ভিন্ন ভিন্ন রুমে নিয়ে বলেছে আপনি কি চান? আমাদের কাছে সত্যি কথা বলেন। আমরা আপনার মাধ্যমে স্কুলের কিছু জঞ্জাল ছাপ করবো। আমি বার বার বলেছি আমাকে ভুল বুঝবে না। আমি যা বলতেছি সত্যি বলতেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি আর ওই স্কুলে কখনো যাবো না। আমার পরিবারের কেউ হয়তো যাবে না। আপনারা আমার মেয়েকে ক্ষমা করে দিবেন। ও যদি কোনো ভুল করে থাকে।’ গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী’ হিসেবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আরা ও প্রভাতী শাখার শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রীর বাবা। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply